সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পাকিস্তানে (Pakistan) রাজনৈতিক পালাবদল ঘটেছে। আর প্রধানমন্ত্রীর কুরসিতে বসেই কাশ্মীর সমস্যা সমাধানের ইঙ্গিত দিয়েছেন শাহবাজ শরিফ (Shahbaz Sharif)। এমন পরিস্থিতিতে শোনা যাচ্ছে, চলতি বছরেই বৈঠক করতে পারেন মোদি-শরিফ। এ নিয়ে না কি দু’দেশের কূটনীতিবিদদের তৎপরতাও শুরু হয়েছে। তবে সরকারিভাবে কোনও নিশ্চিত খবর মেলেনি।
ইমরান খানকে (Imran Khan) সরিয়ে পাকিস্তানের ব্যাটন হাতে নিয়েছেন শরিফ। শপথ নিয়েই ভারতের উদ্দেশ্যে তাৎপর্যপূর্ণ বার্তা দিয়েছিলেন তিনি। তার পর থেকেই দুই প্রতিবেশী দেশের সম্পর্কের উন্নতির আশায় বুক বেঁধেছে রাজনৈতিক মহল। এমন পরিস্থিতিতে শোনা যাচ্ছে জুলাই মাসেই উজবেকিস্তানের তাসখন্দে বৈঠক করতে পারেন দুই রাষ্ট্রপ্রধান।
[আরও পড়ুন: শ্রীলঙ্কায় প্রতিবাদী মিছিলে পুলিশের গুলিবৃষ্টি, মৃত অন্তত ১, জখম বহু]
জুলাই মাসের ১৭ তারিখ উজবেকিস্তানের তাসখন্দে (Tashkent) সাংহাই কর্পোরেশন অর্গানাইজেশন (SCO) বৈঠকে রয়েছে। সেখানে যোগ দিতে যাবেন দুদেশের প্রধানমন্ত্রীই। সূত্রের খবর, সেই সম্মেলনের ফাঁকে মোদি এবং শরিফ আলাদাভাবে কথা বলতে পারেন। এ নিয়ে নাকি দু’দেশের প্রশাসনিক স্তরে তৎপরতাও শুরু হয়ে গিয়েছে। সূত্রের খবর, সেই বৈঠক বাস্তবায়িত হলে পাকিস্তান কাটাস রাজ মন্দিরে যেতে পারেন মোদি। সেখান থেকে শরিফ তাঁকে ইসলামাবাদ নিয়ে যেতে পারেন বলেও সূত্রের খবর। তবে এ নিয়ে দিল্লির তরফে এখনও কিছু জানানো হয়নি।
ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে বরাবরের জ্বলন্ত ইস্যুর নাম কাশ্মীর (Jammu and Kashmir)উপত্যকা। এই সমস্যাই জিইয়ে রেখেছে সীমান্ত অশান্তি। আলাপ-আলোচনা, বৈঠক, মধ্যস্থতা – অনেকভাবেই সমাধানের চেষ্টা চলেছে। শান্তিপ্রতিষ্ঠার (Peace)উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে বহু। কিন্তু এত বছর ধরে তা অধরাই। এবার প্রতিবেশী পাকিস্তানের (Pakistan) টালমাটাল পরিস্থিতিতে ফের কাশ্মীর ইস্যু উসকে উঠেছে। প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রীর কুরসিতে বসেই কাশ্মীর সমস্যা মেটানোর পক্ষে সওয়াল করেছিলেন শরিফ। তখনই মনে করা হচ্ছিল এবার সীমান্ত সমস্যা সমাধানের সূত্রে খোঁজা হতে পারে। এবার সেই জল্পনা আরও বাড়ল।