সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাংলার মানুষের উদ্দীপনা এখন অনেক বেশি। সেই জন্যই পৌঁছতে দেরি হয়েছে। বিহারের জনসভায় পৌঁছে এভাবেই সকলের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)।
বুধবার বাংলায় দিনভর কর্মসূচি ছিল প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi)। গঙ্গার নীচে মেট্রো উদ্বোধনের পরে বারাসতে জনসভা করেন তিনি। বক্তৃতা শেষ হওয়ার পরে মঞ্চের পিছনে সন্দেশখালির ৫ মহিলার সঙ্গে কথা বলেন। তাঁদের উপর যা অত্যাচার হয়েছে সেউ কথা শোনেন প্রধানমন্ত্রী। এই পাঁচ মহিলাই তৃণমূল নেতা শাহজাহানের অত্যাচারের বিরুদ্ধে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছিল বলে খবর। প্রসঙ্গত, বারাসতের সভা থেকে সন্দেশখালি ইস্যু নিয়ে তৃণমূল সরকারকে তোপ দেগেছিলেন প্রধানমন্ত্রী।
[আরও পড়ুন: বেঙ্গালুরুর রেস্তরাঁয় বিস্ফোরণে অভিযুক্তের মাথার দাম ১০ লক্ষ! ঘোষণা NIA-র]
দুপুর দেড়টা নাগাদ সভা শেষ করে বারাসত থেকে সড়কপথে কলকাতা বিমানবন্দরের উদ্দেশে রওনা দেন তিনি। দীর্ঘ ১২ কিলোমিটার পথ গাড়িতে পাড়ি দেওয়ার পরে পৌঁছন বিমানবন্দরে। তার পরে বিহারের (Bihar) বেতিয়ার জনসভায় ফের বক্তৃতা দিতে মঞ্চে ওঠেন প্রধানমন্ত্রী। তবে নির্ধারিত সময়ের বেশ খানিকটা দেরি করে শুরু হয় মোদির জনসভা। কারণ সময়ের মধ্যে বেতিয়া পৌঁছতে পারেননি প্রধানমন্ত্রী।
বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ বেতিয়ার সভায় বক্তব্য শুরু করেন মোদি। দেরি হওয়ার জন্য প্রথমেই সকলের কাছে ক্ষমা চেয়ে ভাষণ শুরু করেন। মোদির কথায়, “এখানে আসতে দেরি হল বলে সকলের কাছে ক্ষমা চাইছি। আসলে আমি বাংলায় ছিলাম। আর আজকাল বাংলার মানুষও খুব উৎসাহী। সেখানে ১২ কিলোমিটার পথ গাড়িতে চেপে এসেছি। সবমিলিয়ে দেরি হয়ে গিয়েছে।” বিহারের সভায় বক্তৃতা দিতে ১৩ হাজার কোটি টাকার ‘উপহারের’ কথা মনে করিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, বিহারে ডবল ইঞ্জিন সরকার এলে দ্রুত গতিতে রাজ্যের উন্নয়ন হবে।