সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জি-২০ সম্মেলনে (G20 Summit) যোগ দিতে ইন্দোনেশিয়ায় পৌঁছে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। আন্তর্জাতিক মঞ্চে গিয়েই তাঁর সঙ্গে দেখা হয়েছে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক (Rishi Sunak), মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন (Joe Biden), ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর মতো রাষ্ট্রনেতাদের। কিন্তু মঙ্গলবার সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য মুহূর্ত বোধহয় তৈরি হল তখন, যখন চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং (Xi Jinping) ও মোদিকে একসঙ্গে দেখা গেল। পূর্ব লাদাখে চিনা আগ্রাসনের পরে এই প্রথম করমর্দন করলেন দুই রাষ্ট্রনেতা।
মঙ্গলবার নৈশভোজের সময় দেখা হয় দু’জনের। এর আগে গত সেপ্টেম্বরে এসসিও বৈঠকেও তাঁদের দেখা হয়েছিল। কিন্তু সেবার হাসি-করমর্দন দূরের কথা, সৌজন্য বিনিময়ও করতে দেখা যায়নি মোদি-জিনপিংকে। দুই দেশের সম্পর্কের বরফ কতটা জমাট বেঁধেছে, সেটাই যেন দুই রাষ্ট্রপ্রধানের শরীরী ভাষায় স্পষ্ট হয়ে উঠছিল। সেই তুলনায় মঙ্গলবাসরীয় সন্ধে যেন অন্য ছবি ফুটিয়ে তুলল। তবে সূত্রানুসারে, সৌজন্য সাক্ষাৎ হলেও দুই রাষ্ট্রনেতার দ্বিপাক্ষিক কোনও বৈঠক হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
[আরও পড়ুন: তৃণমূল নেত্রী বীরবাহা হাঁসদাকে করা কটূক্তির জন্য ক্ষমা চাইতে পারবেন মোদি-শাহ-শুভেন্দু? চ্যালেঞ্জ ছুঁড়লেন অভিষেক]
উল্লেখ্য, এদিন নৈশভোজের সময় জিনপিং ছাড়াও মার্কিন বিদেশ সচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের সঙ্গেও সাক্ষাৎ হয় মোদির। এদিকে জি-২০ সম্মেলনের ফাঁকেই দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসতে পারেন মোদি ও বাইডেন। প্রসঙ্গত, সোমবারেই চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন বাইডেন। বৈঠকের শুরুতে হাতে হাত রেখে হাসিমুখে ছবি তোলেন দুই রাষ্ট্রপ্রধান।
সিএনএন সূত্রে খবর, দোভাষীর মাধ্যমে বাইডেনের উদ্দেশে জিনপিং বলেন, “আপনাকে দেখে ভাল লাগল।” পালটা অভিবাদন জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ফলে প্রশ্ন জাগে, বালির সমুদ্র সৈকতে যে কূটনৈতিক ‘উষ্ণতা’ দেখা গিয়েছে, তাতে কি সম্পর্কের বরফ গলবে? চিনের রাষ্ট্রপ্রধানের সঙ্গে বৈঠকের পরের দিনই মোদির সঙ্গে বাইডেনের আলোচনার সম্ভাবনা আন্তর্জাতিক মহলে যথেষ্ট আগ্রহ তৈরি করেছে।