সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রবিবার দ্বিতীয়বারের জন্য পাকিস্তানের মসনদে বসেছেন শাহবাজ শরিফ। গত ৮ ফেব্রুয়ারি পড়শি দেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এই ভোটপ্রক্রিয়া শেষ হওয়ার প্রায় একমাস পরে প্রধানমন্ত্রী হন নওয়াজ শরিফের ভাই। মঙ্গলবার তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
সোমবার দ্বিতীয়বারের জন্য পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শপথ নিয়েছেন শাহবাজ। মঙ্গলবার তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়ে এক্স হ্যান্ডেলে মোদি লিখেছেন, ‘পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেওয়ার জন্য শাহবাজ শরিফকে অভিনন্দন।’ গত ৮ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর দেখা যায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে, শরিফের দল পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন)। সবচেয়ে বেশি আসনে জয় পেয়েছেন পিটিআই সমর্থিত নির্দলরা। কিন্তু নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা না থাকার কারণে তাঁরা সরকার গঠন করতে পারেননি।
[আরও পড়ুন: মরিশাসে শিবরাত্রির উৎসবে আগুন লেগে মৃত্যু ৬ হিন্দুর, শোকপ্রকাশ জয়শংকরের]
উল্লেখ্য, সন্ত্রাস আবহে পাকিস্তানের (Pakistan) নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি কোনও দল। পিটিআই সমর্থিত নির্দলরা পেয়েছিলেন ১০১টি আসন, অন্যান্য সমস্ত দলের চেয়ে বেশি। দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান পেয়েছিল যথাক্রমে নওয়াজ শরিফের পিএমএল(এন) ও বিলাওয়াল ভুট্টোর পিপিপি। ফলপ্রকাশের পরেই জোট গঠন করতে মাঠে নেমে পড়ে দুই দল। প্রায় দুসপ্তাহ ধরে দীর্ঘ আলোচনার পরে স্থির হয়, জোট সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে প্রস্তাব করা হবে শাহবাজ শরিফের নাম। অন্যদিকে যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনে বিলাওয়াল বলেন, আসিফ আলি জারদারি মনোনীত হবেন প্রেসিডেন্ট হিসাবে। তখনই নিশ্চিত হয়ে যায়, সবচেয়ে বেশি আসন পেলেও সরকার গড়তে পারেব না ইমরান খানের পিটিআই।
তবে দলের তরফে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসাবে পাক প্রেসিডেন্ট আয়ুব খানের নাতির মতো হেভিওয়েট নামকে তুলে ধরে ইমরানের দল। ওমর আয়ুব পাকিস্তানের রাজনীতিতে উল্লেখ্যযোগ্য নাম। কিন্তু গত রবিবারের আস্থাভোটে হেরে যান ওমর আয়ুব। মাত্র ৯২টি ভোট পেয়েছিলেন তিনি। শাহবাজের পক্ষে ভোট দিয়েছিলেন ২০১জন সাংসদ। তবে আগামিদিনে শাহবাজের আড়াল থেকে পাকিস্তানের সরকার চালাবেন নওয়াজই, অনুমান বিশ্লেষকদের।