সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নীতিগত স্বচ্ছতা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi)। সেই জন্যই ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করতে ভারতের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (USA)। কারণ মোদির কথাকে আমেরিকা, রাশিয়া-সহ একাধিক দেশই গুরুত্ব দেয়। বুধবার এমনটাই জানালেন মার্কিন বিদেশ দপ্তরের মুখপাত্র নেড প্রাইস। জি২০ সম্মেলনের আয়োজক দেশ হিসাবেও ভারতকে সহযোগিতার বার্তা দিয়েছেন তিনি।
বুধবার নেড প্রাইস বলেন, “চলতি জি২০ (G20) সম্মেলনে অনন্য ভূমিকা রয়েছে আয়োজক দেশ ভারতের। তারা এমন একটি দেশ, যার সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরেই কূটনৈতিক সুসম্পর্ক রয়েছে আমাদের। অন্যদিকে রাশিয়ার সঙ্গেও তাদের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে ভারতের, যেটা আমেরিকার নেই। এহেন পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছিলেন, এটা একেবারেই যুদ্ধ করার সময় নয়। একাধিকবার এই মন্তব্য করা হয়েছে ভারতের তরফে।”
[আরও পড়ুন: গেরুয়া বসন, সোনার গয়নায় সজ্জিত কৈলাস রাষ্ট্রের প্রতিনিধি, কে এই মা বিজয়প্রিয়া নিত্যানন্দ?]
গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে এসসিও সম্মেলনে (SCO Summit) যোগ দিতে গিয়ে রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে আলাদা করে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসেছিলেন মোদি। সেখানে তিনি বলেন, “যুদ্ধ (Russia-Ukraine War) করার জন্য এই সময়টা একেবারেই আদর্শ নয়। আমি ফোনেও আপনার সঙ্গে এই বিষয়ে কথা বলেছিলাম।” উত্তরে পুতিন বলেন, “ইউক্রেন প্রঙ্গে আপনাদের চিন্তার কারণ রয়েছে তা বুঝতে পারছি। আমরাও চাই খুব তাড়াতাড়ি এই যুদ্ধ শেষ হোক।” সেই প্রসঙ্গ টেনেই বুধবার মুখ খুলেছে আমেরিকার বিদেশ দপ্তর।
নেড প্রাইস বলেন, “চূড়ান্ত নীতিগত স্বচ্ছতার সঙ্গে কথা বলার ক্ষমতা রয়েছে ভারতের। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বক্তব্য থেকেই তা পরিষ্কার। গত বছর মোদি বলেছিলেন, এটা যুদ্ধের সময় নয়। সারা বিশ্ব সেই কথা মেনে নিয়েছিল। কারণ ভারত বা মোদি যা বলেন, সেটা সকলেই শোনে। আমেরিকা, রাশিয়া- সকল দেশের কাছেই ভারতের মতামত গ্রহণযোগ্য হয়। অন্য দেশগুলিও ভারতের কথা মানে।” ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসন বন্ধ করতে ভারতের সাহায্য নিতেও রাজি আমেরিকা, কারণ ভারত-রাশিয়া দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক অত্যন্ত ভাল।