shono
Advertisement

COP26: জলবায়ু নিয়ন্ত্রণে আরও উন্নতি করবে ভারত, গ্লাসগোয় ৫ ‘অমৃত তত্ত্ব’র সন্ধান দিলেন মোদি

গ্লাসগোয় ‘মোদি হ্যায় ভারত কা গেহনা’ গেয়ে স্বাগত জানানো হয় প্রধানমন্ত্রীকে।
Posted: 10:32 PM Nov 01, 2021Updated: 10:40 PM Nov 01, 2021

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘মোদি হ্যায় ভারত কা গহনা’। গ্লাসগোর হোটেলে এভাবেই স্থানীয় সময় রবিবার প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানালেন প্রবাসী ভারতীয়রা। এরপর সোমবার দিনভর একাধিক নেতা-মন্ত্রীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন নরেন্দ্র মোদি। পরিবেশ, জলবায়ু সংক্রান্ত আলোচনার পাশাপাশি শিক্ষা, সংস্কৃতি, অন্য দেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক স্থাপন নিয়েও বৈঠক করেন মোদি।

Advertisement

ইতালিতে G20 শীর্ষ সম্মেলন থেকে গ্লাসগোয় COP26 জলবায়ু শীর্ষ সম্মেলনের জন্য পৌঁছন প্রধানমন্ত্রী। সোমবার সকালে স্কটল্যান্ডে অবস্থিত ভারতীয় সম্প্রদায়ের নেতা এবং ইন্ডোলজিস্টদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। এরপর জাতিসংঘের ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অন ক্লাইমেট চেঞ্জের (UNFCCC) ২৬ তম কনফারেন্স অফ পার্টিস অথবা COP26-এর ওয়ার্ল্ড লিডারস সামিটের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে হাজির হন। সেখানেই বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মন্ত্রী, প্রধানদের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয় মোদির। দেখা করেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের সঙ্গেও।

২০৩০ সালের রোডম্যাপ কীভাবে বাস্তবায়ন করা সম্ভব, তা নিয়ে আলোচনা হয় দুই প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে। এক্ষেত্রে ব্যবসা, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, প্রতিরক্ষার বিষয়গুলিকে প্রাধান্য দেওয়ার কথাও বলেন তাঁরা। আলোচনায় উঠে আসে আফগানিস্তানে তালিবান শাসন, সন্ত্রাসবাদ প্রসঙ্গও। কোভিড পরবর্তী সময়ে দেশের অর্থনীতিকে কীভাবে চাঙ্গা করতে হবে, সে নিয়েও কথাবার্তা হয় মোদি ও জনসনের মধ্য়ে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীকে ভারতে আসার আমন্ত্রণও জানান মোদি।

[আরও পড়ুন: তৃণমূলের হয়ে এবার ভোটেও লড়বেন লিয়েন্ডার পেজ? টেনিসতারকার মন্তব্যে জোর জল্পনা]

এদিকে, জলবায়ু সম্মেলনে ভাষণ দিতে গিয়ে মোদি বলেন, জলবায়ুর উপর বড় প্রভাব ফেলছে মানুষের জীবনযাপন। সেখানেই বদল প্রয়োজন। আর তাই লাইফস্টাইল ফর এনভায়রনমেন্টের (LIFE) শপথ নেন তিনি। অর্থাৎ জলবায়ুর উন্নতির জন্য জীবনযাপনে বদল আনতে পাঁচ অমৃত তত্ত্বের সন্ধান দেন মোদি।

  • ২০৩০-এর মধ্যে ভারত অজৈব জ্বালানির পরিমাণ ৫০ হাজার গিগাওয়াটে পৌঁছে দেবে।
  • ২০৩০-এর মধ্যে পুনর্ব্যবহার যোগ্য শক্তি দিয়েই দেশের অর্ধেক এনার্জির চাহিদা পূরণ করা হবে।
  • ২০৩০-এর মধ্যে কার্বন নিঃসরণ এক বিলিয়ন টন কমাবে ভারত।
  • ২০৩০-এর মধ্যে ভারত তার অর্থব্যবস্থার কার্বন ইন্টেনসিটি ৪৫ শতাংশ কমিয়ে আনবে।
  • ২০৭০ সালের মধ্যে ‘নেট জিরো’র লক্ষ্যমাত্রা ছোঁবে ভারত।

[আরও পড়ুন: খারিজ কলকাতা হাই কোর্টের রায়, দীপাবলিতে সব বাজি নিষিদ্ধ নয়, ঘোষণা শীর্ষ আদালতের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement