সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইটালিতে অনুষ্ঠিত জি-৭ সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আন্তর্জাতিক এই সামিটে উপস্থিত রয়েছেন বিশ্বের তাবড় রাষ্ট্রনেতারাও। সেখানেই সকলের সঙ্গে খোশ মেজাজে ধরা দিলেন মোদি। একদিকে যেমন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে দেখেই জড়িয়ে ধরে সৌজন্য বিনিময় করেন, অন্যদিকে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর হাতে হাত রেখে কথা বলতে দেখা যায় তাঁকে। শুধু তাই নয় সম্মেলনের ফাঁকেই বিভিন্ন রাষ্ট্রনেতাদের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক সেরে নিয়েছেন নমো।
তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসার পর এটাই মোদির প্রথম বিদেশ সফর। ইটালির প্রধানমন্ত্রীর জর্জিয়া মেলোনির আমন্ত্রণে বিশেষ অতিথি হিসাবে ৫০তম জি-৭ সামিটে যোগ দিয়েছেন নমো। সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, এই সম্মেলনের মাঝেই শুক্রবার বাইডেনের সঙ্গে দেখা করেন মোদি। দীর্ঘদিন পর বন্ধুকে দেখে জড়িয়ে ধরেন তিনি। এর পর বৈঠকে বসেন দুজনে। যা নিয়ে এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, 'মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ সবসময়ই খুব আনন্দের। আগামিদিনে দুদেশের সম্পর্ক আরও মজবুত করতে ও বিশ্বের উন্নতি সাধনে আমরা একযোগে কাজ করব।'
অন্যদিকে, এদিন মোদিকে কথা বলতে দেখা যায় ট্রুডোর সঙ্গেও। হাতে হাত রেখে সৌজন্য বিনিময় করেন তাঁরা। বলে রাখা ভালো, চব্বিশের নির্বাচনে জয়লাভ করার জন্য মোদিকে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু শুভেচ্ছাবার্তায় ভারতকে খানিক 'খোঁচা' দিয়েছিলেন তিনি। তুলেছিলেন মানবাধিকার প্রসঙ্গ। যার উত্তরে ধন্যবাদ জানিয়েও পালটা দিয়েছিলেন মোদি। মনে করিয়ে দিয়েছিলেন, একযোগে কাজ করতে গেলে পারস্পরিক সম্মান বজায় রাখা সবার আগে জরুরি। তবে আগামিদিনে দুদেশের সম্পর্কের উন্নতি ঘটিয়ে একসঙ্গে কাজ করার বার্তা দিয়েছিলেন দুজনেই। খলিস্তানি নেতা হরদীপ সিং নিজ্জরের হত্যার পর থেকেই ভারত-কানাডা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে চির ধরে। তাই ইটালিতে মোদি-ট্রুডোর সাক্ষাৎ যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে কূটনৈতিক মহল।
[আরও পড়ুন: যুদ্ধবিরতির পথে রাশিয়া! ইউক্রেনকে কোন শর্ত বেঁধে দিলেন পুতিন?]
এছাড়া এই সম্মেলনের প্রথমদিন মোদি বৈঠক করেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ও জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার সঙ্গে। বিশ্বশান্তি, পারস্পরিক সহযোগিতা, আন্তর্জাতিক বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে মতামত বিনিময় করেন সকলে। পাশাপাশি পোপ ফ্রান্সিসের সঙ্গে দেখা করে, তাঁকে ভারতে আসার আমন্ত্রণ জানান মোদি।