সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেশের প্রধান বিচারপতির বাড়িতে গণেশপুজোয় যোগ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী! এই ছবি ছড়িয়ে পড়তেই নানা রকম প্রশ্ন ওঠা শুরু করে সোশাল মিডিয়ায়। বিরোধীরা খোঁচা দিতে শুরু করে। অবশেষে এই বিতর্কে মুখ খুললেন মোদি। আক্রমণ করলেন কংগ্রেসকে। দাবি করলেন, যারা ক্ষমতার জন্য বুভুক্ষু, তাদের গণেশ পুজো নিয়ে সমস্যা থাকে।
ভুবনেশ্বরে এক জনসভায় বক্তব্য রাখার সময় প্রধানমন্ত্রীকে বলতে শোনা যায়, ''ব্রিটিশরাও বিভাজনের নীতি অনুসরণ করেছিল গণেশ উৎসবের সময় ঘৃণা ছড়াতে। আপনারা দেখছেন কংগ্রেস এবং ওদের ইকোসিস্টেমের সদস্যরা ক্ষেপে গিয়েছেন, কেননা আমি গণেশ পুজোয় অংশ নিয়েছি।'' সেই সঙ্গেই তিনি বলেন, ''গণেশ উৎসব আমাদের দেশের জন্য স্রেফ ধর্মীয় উৎসব নয়। গণেশ উৎসব আমাদের দেশের স্বাধীনতায় বড় ভূমিকা পালন করেছিল। ক্ষমতার খিদেতে ইংরেজরা দেশকে বণ্টন করেছিল, ধর্মের নামে দেশের মানুষকে লড়িয়ে দিয়েছিল, সমাজে বিষপ্রয়োগ করেছিল। বিভাজনের নীতি ছিল ওদের হাতিয়ার। সেই সময় লোকমান্য তিলক সর্বজনীন গণেশ উৎসবের আয়োজন করে ভারতের আত্মাকে জাগ্রত করেছিলেন। উচ্চ-নীচ, বৈষম্যের উপরে উঠে ধর্ম আমাদের যুক্ত করতে শেখায়।''
গত বুধবার মোদিকে দেখা যায় প্রধান বিচারপতির বাড়িতে গণেশ পুজোয় যোগ দিতে। প্রশ্ন ওঠে, সংবিধানের রক্ষাকর্তাকে ব্যক্তিগত পরিসরে শাসকের সঙ্গে একফ্রেমে দেখা কতটা শোভনীয়? বিরোধীরা বলেছে, এই ধরনের সাক্ষাৎ সংশয় তৈরি করেছে। কংগ্রেসের অভিযোগ ছিল, এতে প্রধান বিচারপতির নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। গেরুয়া শিবির আবার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের সঙ্গে তৎকালীন প্রধান বিচারপতি কে জি বালকৃষ্ণণের সৌজন্য সাক্ষাতের একটি ছবি পোস্ট করে কংগ্রেসকে পালটা দেয়। এবার এই বিতর্কে মুখ খুলে হাত শিবিরকে আক্রমণ করলেন মোদি। তাদের সঙ্গে ব্রিটিশদের ঔপনিবেশিক ও বিভাজন নীতির মানসিকতার তুলনা করতে দেখা গেল তাঁকে। এবার দেখার কংগ্রেস এই বিতর্কে কী জবাব দেয়।