সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মতুয়াদের বার্ষিক উৎসবে ভারচুয়াল শুভেচ্ছাবার্তা জানাতে গিয়ে ঘুরিয়ে রাজ্যের রাজনৈতিক হিংসা নিয়ে বার্তা দিয়ে গেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। ‘কোথাও রাজনৈতিক হিংসা হলে রুখে দাঁড়ান’, সাফ বার্তা মোদির। তবে রাজ্যের মতুয়া (Matua Community) সমাজ যে বার্তার জন্য অপেক্ষা করছিলেন, সেই সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে এদিন মুখ খোলেননি প্রধানমন্ত্রী।
বস্তুত, আইন প্রণয়নের পর প্রায় ৩ বছর পার হতে চললেও এখনও CAA কার্যকর করতে পারেনি কেন্দ্রীয় সরকার। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে আগে মতুয়াদের নাগরিকত্বের আশ্বাস দিয়েছিল বিজেপি। ক্ষমতায় ফিরে সংসদে সেই আইনও পাস করা হয়। এর পরই দেশজুড়ে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। তার পর সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন কার্যকর করার বদলে করোনা মহামারীর দোহাই দিয়ে হিমঘরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে আইনটিকে। এর পর থেকেই মতুয়াদের মধ্যে অসন্তোষ বাড়তে শুরু করেছে। যা নিয়ে একাধিকবার ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সাংসদ তথা মতুয়া মহাসংঘের সভাধিপতি শান্তনু ঠাকুরও। মতুয়া সমাজের আশা ছিল আজকের সভা থেকে CAA নিয়ে অন্তত কোনও বার্তা যদি মেলে প্রধানমন্ত্রীর তরফে। কিন্তু মোদি এদিন সেসব নিয়ে মুখই খোলেননি।
[আরও পড়ুন: মমতার চিঠির পরই সংসদে নবীন পট্টনায়েকের সঙ্গে দেখা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের, বাড়ছে জল্পনা]
বরং ঘুরিয়ে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এবং রাজনৈতিক হিংসা নিয়ে বার্তা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। বলে দিয়েছেন, বর্তমান সময়ে যখন হিংসা বাড়ছে, মানুষে মানুষে বিভাজন তৈরির চেষ্টা হচ্ছে, তখন হরিচাঁদ ঠাকুরের (Harichand Thakur) দর্শন সমাজের জন্য প্রয়োজন। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য, জোর করে কারও রাজনৈতিক অধিকারে হস্তক্ষেপ করাটা সংবিধান বিরুদ্ধে। তাই রাজনৈতিক হিংসা এবং অরাজকতার বিরুদ্ধে সবার সরব হওয়া উচিত। রামপুরহাট কাণ্ড তথা রাজ্যের সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রীর এই বার্তা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
মতুয়াদের মন পেতে এদিন প্রধানমন্ত্রী ভাষণ শুরু করেন বাংলায়। গত বছর ওরাকান্দি সফরের প্রসঙ্গ তুলে আনেন তিনি। একাধিকবার তাঁর মুখে শোনা যায় মতুয়াদের সংস্কৃতির কথা। উঠে আসে মতুয়া সম্প্রদায়ের জীবন দর্শনের কথা। মতুয়াদের উন্নয়নে কেন্দ্র সর্বদা সচেষ্ট, রাজ্য সরকারকেও উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে, দাবি করেন মোদি। তবে, সবকিছু থাকলেও সিএএ প্রসঙ্গ সুকৌশলে এড়িয়ে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।