সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জোর লড়াইয়ে কাঁপছে মধ্যপ্রাচ্য। ইজরায়েল-হামাস সংঘাতে একে একে জড়িয়ে পড়ছে বিশ্বের তাবড় দেশ। আর, তেপান্তর পারের সেই কামানের গর্জন শোনা যাচ্ছে ভারতেও! শুক্রবার এনিয়েই ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের সঙ্গে ফোনে কথা বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ফোনালাপের পর নিজের এক্স হ্যান্ডেলে মোদি লেখেন, ‘ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক মজবুত করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। পশ্চিম এশিয়ার পরিস্থিতি নিয়ে মত বিনিময় হয়েছে। সন্ত্রাসবাদ ও হিংসার কোনও স্থান নেই বলে আমরা সহমত। তবে সাধারণ নাগকরিকদের মৃত্যু খুবই উদ্বেগের বিষয়। আঞ্চলিক নিরাপত্তা, শান্তি ও স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে হবে। একইসঙ্গে ত্রাণকার্য চালিয়ে যেতে হবে।’
[আরও পড়ুন: সন্ত্রাসবাদ বরদাস্ত নয়, তবে… প্যালেস্টাইন নিয়ে কী বার্তা জয়শংকরের?]
তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, হামাস জঙ্গিদের হামলার পরেই সন্ত্রাসবাদের নিন্দা করে বার্তা দেন মোদি। ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে ফোনে বলেন, “ভারত ইজরায়েলের পাশে আছে।” তবে গাজায় ইজরায়েলি বোমাবর্ষণে সাধারণ মানুষের মৃত্যুতে বিশ্বজুড়ে আলোড়ন তৈরি হতেই পরিস্তিতি ঘোরাল হয়ে উঠে। তেল আভিভের তুমুল সমালোচনা শুরু করে আরব বিশ্ব। ভারতেও শুরু হয়েছে প্যালেস্টাইনের সমর্থনে মিছিল। অভিযোগ ওঠে, প্যালেস্টাইন রাষ্ট্রের সমর্থনের সনাতন নীতি থেকে সরে এসেছে মোদি সরকার। ফলে, আরব বিশ্ব ও ভারতের বিরাট সংখ্যক মুসলমানদের কথা মাথায় রেখেই কয়েকদিন আগেই প্যালেস্টাইনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসকে ফোন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
এবার ঋষি সুনাকের সঙ্গে আলোচনাতে গাজা ভূখণ্ডে সাধারণ মানুষের মৃত্যু নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে আরব বিশ্বকে আশ্বস্ত করতে চেয়েছেন মোদি বলেই ধারণা অনেকের। তবে কোনও ধরনের সন্ত্রাসবাদ যে ভারত মানবে না এবং জেহাদিদের কড়া জবাব দেওয়া হবে সেটাও প্রধানমন্ত্রীরা বার্তা থেকে স্পষ্ট।