সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইউক্রেন যুদ্ধের (Russia-Ukraine War ) আবহেই এবার ইউরোপ সফরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। দেশ ছাড়ার আগে মোদি জানালেন, ইউরোপীয় অংশীদার দেশগুলির সঙ্গে সম্পর্ক মজবুত করাই তাঁর এই সফরের উদ্দেশ্য। যুদ্ধে কার্যত ‘বন্ধু’ রাশিয়ার (Russia) দিকেই থেকেছে ভারত। পশ্চিমী দেশগুলি ভারতের এই অবস্থানকে ভাল ভাবে নিচ্ছে না বলেই মনে করা হচ্ছে। আর তাই আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ভারসাম্য রাখার ক্ষেত্রে মোদির এই সফরকে গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।
ঠিক কী বলেছেন প্রধানমন্ত্রী? তাঁর কথায়, ”এমন এক সময়ে আমি ইউরোপ সফরে যাচ্ছি যখন তাদের বহু চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হয়েছে। আমি চাই আমাদের ইউরোপীয় অংশীদারদের সঙ্গে সহযোগিতার সম্পর্ককে আরও মজবুত করতে।”
[আরও পড়ুন: ফের মাসের শুরুতে পকেটে টান, একধাক্কায় ১০৩ টাকা বাড়ল গ্যাসের দাম]
দেখতে দেখতে নবম সপ্তাহে পড়েছে রাশিয়া ইউক্রেন-যুদ্ধ। এই পরিস্থিতিতে ইউরোপ সফরে গিয়ে প্রথমেই জার্মানি যাবেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে জার্মানির চ্যান্সেলার ওলাফ স্কলজের সঙ্গে তিনি সাক্ষাৎ করবেন বার্লিনে। এরপর ডেনমার্কের কোপেনহেগেনে সেদেশের প্রধানমন্ত্রী মেট ফ্রেডরিকসনের সঙ্গে বৈঠক করবেন মোদি। তবে তাঁর এই সফরে যে সাক্ষাতের দিকে সবথেকে বেশি নজর থাকবে তা সদ্য তৃতীয় বারের জন্য ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়া ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর সঙ্গে। প্যারিসের ওই বৈঠক খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
ওই সাক্ষাৎ নিয়ে মোদি বলছেন, ”প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ সম্প্রতি পুনর্নির্বাচিত হয়েছেন। আর তার দশদিনের মধ্যেই তাঁকে সামনাসামনি অভিনন্দন জানানোর সুযোগ আমি পাচ্ছি। এই বৈঠকে ভারত-ফ্রান্স অংশীদারির পরবর্তী পর্যায়ের দিকটি তৈরি হবে।”
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে ঢুকে পড়ে রুশ সেনা। এই হামলার পরে ইউরোপীয় দেশগুলি মস্কোর বিরুদ্ধে সরব হয়েছে। তবে ভারত তার ‘দীর্ঘদিনের বন্ধু’ রাশিয়ার পাশেই দাঁড়িয়েছে। আর সেই কারণেই উত্তরোত্তর চাপ বাড়ছে নয়াদিল্লির উপরে। এই পরিস্থিতিতে মোদির সফরে উত্তেজনার বরফ গলে কিনা সেটাই দেখার।