সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গুপ্তঘাতকের হাতে নিহত হয়েছেন হাইতির প্রেসিডেন্ট জোভেনেল মোইসে। এই ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)।
[আরও পড়ুন: ৩১ আগস্ট শেষ হচ্ছে ‘মিশন আফগানিস্তান’, ঘোষণা প্রেসিডেন্ট বাইডেনের]
ক্যারিবিয়ান রাষ্ট্রটির এহেন সংকট কালে নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রী মোদি লেখেন, “প্রেসিডেন্ট জোভেনেল মোইসের হত্যা ও তাঁর স্ত্রী মার্টিন মোইসের উপর হামলার ঘটনায় আমি দুঃখিত। মোইসে পরিবার ও হাইতির জনগণের প্রতি আমার সমবেদনা রইল।” এদিকে, এই হত্যাকাণ্ডের পরই হাইতি জুড়ে শুরু হয়েছে ধরপাকড়। দেশটির পুলিশ জানিয়েছে, ২৮ জনের একটি বিদেশি ‘হিট স্কোয়াড’ বা ঘাতক বাহিনী এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। সংঘর্ষে নিহত হয়েছে আরও ৪ হত্যাকারী। ধৃতদের মধ্যে কলম্বিয়ার প্রাক্তন সেনকর্মীরাও রয়েছে। তাৎপর্যপূর্ণভাবে, মোইসের হত্যাকারী সন্দেহ ধৃতদের মধ্যে দুই মার্কিন নাগরিক রয়েছে বলেও খবর। তাঁদের নাম জেমস সলাজেস (৩৫) ও জোসেফ ভিনসেন্ট (৫৫)। এই ঘটনায় দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
উল্লেখ্য, ক্যারিবিয়ান দেশটির রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্সে নিজের বাসভবনেই খুন হয়েছেন প্রেসিডেন্ট মোইসে (Jovenel Moise) বলে বুধবর জানিয়েছিলেন দেশটির অর্ন্তবর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী ক্লড জোসেফ। একদল অজ্ঞাতপরিচয় সশস্ত্র ব্যক্তি প্রেসিডেন্টের বাসভবনে আকস্মিকভাবে ঢুকে পড়ে হামলা চালায়। ওই ঘটনায় আহত হন ফার্স্ট লেডি মার্টিন মোইসে। তাঁকে হাসপাতালে ভরতি করানো হয়। আপাতত তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল। কারা এই হামলা চালাল তার তদন্ত শুরু হয়েছে। কেনই বা হামলা চালাল তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে প্রশাসন সূত্রে খবর। প্রধানমন্ত্রী জোসেফ এই হামলার তীব্র নিন্দা করে বলেছেন, “এটা একটা অমানবিক এবং বর্বরোচিত কাজ।” হাইতির ন্যাশনাল পুলিশ এবং তদন্তকারী সংস্থা গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। পরিস্থিতি আপাতত নিয়ন্ত্রণে। প্রেসিডেন্টের খুনের ঘটনায় দেশজুড়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। হামলকারীদের গ্রেপ্তার করার দাবিতে নানা দেশের নানা প্রান্ত থেকে আওয়াজ উঠেছে।