জ্যোতি চক্রবর্তী, বনগাঁ: মতুয়া (Motua) মহাধর্ম মেলা উপলক্ষে ঠাকুরবাড়িতে লিখিত শুভেচ্ছাবার্তা পাঠালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। বিষয়টি নিশ্চিত করলেন জানালেন মতুয়া মহাসংঘের সংঘাধিপতি শান্তনু ঠাকুর (Santanu Thakur)। শুভেচ্ছা বার্তায় প্রধানমন্ত্রী হরিচাঁদ ঠাকুরের জীবন দর্শন, শিক্ষাক্ষেত্রে তাঁর ভূমিকার কথা উল্লেখ করেছেন। শান্তনু বলেন, “হরিচাঁদ ঠাকুরের ২১১ তম জন্মতিথি ও মতুয়া মহাধর্ম মেলা উপলক্ষে রাতে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে পাঠানো শুভেচ্ছা বার্তায় হরিচাঁদ ঠাকুরের কর্মকাণ্ডের প্রশংসা ও মেলার সাফল্য কামনা করা হয়েছে। এটা মতুয়াদের কাছে অনেক বড় পাওনা।” ২৯ মার্চ পুণ্যস্নান ও মতুয়া মেলা উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী মতুয়াদের উদ্দেশে বার্তাও দেবেন।
প্রসঙ্গত, রাজ্য তথা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে মতুয়া ভক্তরা৷ হরিচাঁদ ঠাকুরের (Harichand Thakur) জন্মতিথি উপলক্ষে ঠাকুর বাড়ির কামনা সাগরের পুণ্য স্নান করতে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কয়েক হাজার মতুয়া ভক্তরা আসেন। শান্তনু ঠাকুর শনিবার জানিয়েছিলেন, মতুয়া ধর্ম মহামেলা উপলক্ষে এবছর রেলের পক্ষ থেকে স্পেশ্যাল এবং এক্সপ্রেস মিলিয়ে ১৫ টি বাড়তি ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷ ২৯ শে মার্চ পুণ্যস্নান উপলক্ষে উত্তরাখণ্ড ,কর্ণাটক, মহারাষ্ট্র-সহ দেশের বিভিন্ন রাজ্য থেকে বিশেষ ট্রেন এবং এক্সপ্রেস ট্রেন ঠাকুরনগরে আসবে৷ আন্দামানে থাকা মতুয়া ভক্তদের জন্য বিশেষ জাহাজের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: দুয়ারে অশান্তি? ‘দিদিকে বলো’র আদলে নতুন প্রকল্প রাজ্যে, খবর দিলে পুরস্কৃত করবেন মুখ্যমন্ত্রী]
মতুয়া ভক্তরা জানিয়েছেন, অতীতে মতুয়া ধর্মমেলা আয়োজন নিয়ে বনগাঁর বিজেপি (BJP) সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের সঙ্গে বনগাঁর প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ মমতা ঠাকুরের মধ্যে বারবার বিরোধ ফুটে উঠেছে। এবার বিরোধ থাকলেও বাড়ির দু’পক্ষই একসঙ্গে মেলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পাশাপাশি করোনা আবহে দু’বছর মেলা বন্ধ ছিল। ফলে এ বছর লক্ষাধিক ভক্তের সমাগম হবে ঠাকুরবাড়িতে।
[আরও পড়ুন: শিলিগুড়ির করোনেশন ব্রিজে শুটিংয়ের জন্য বিস্ফোরণ, ঘটনায় রিপোর্ট তলব করল পূর্ত দপ্তর]
ঠাকুর বাড়ির সদস্যদের দাবি, মেলার প্রস্তুতি চলছে জোরকদমে। আধুনিক বৈদ্যুতিক আলো দিয়ে সাজিয়ে ফেলা হচ্ছে ঠাকুরবাড়ি এলাকা। ২৯ শে মার্চ থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত এবার মেলা চলবে। মেলাকে কেন্দ্র করে দোকানিরা ঠাকুরবাড়ি সংলগ্ন মেলার মাঠে আসতে শুরু করেছে। ঠাকুরবাড়ি এলাকায় এসে ঘুরে যাচ্ছেন স্থানীয় প্রশাসনিক কর্তারা। পুলিশ কর্তা জানিয়েছেন, মেলার মাঠে পর্যাপ্ত পুলিশি ব্যবস্থা থাকবে৷