সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সবার আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) করোনা ভ্যাকসিন (COVID vaccine) নেওয়া উচিত। তারপর তা দেশের বাকিদের দেওয়া হোক। এমনই আরজি জানালেন আরজেডি নেতা তেজপ্রতাপ যাদব (Tej Pratap Yadav)। তাঁর কথায়, ‘‘আগে প্রধানমন্ত্রী কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন নিন। তারপর আমরাও নেব।’’ ক’দিন আগেই বিহারের কংগ্রেস নেতা অজিত শর্মাও এমনই দাবি জানিয়েছিলেন। তাঁর মতে, মোদি-সহ বিজেপির নেতারা আগে ভ্যাকসিনের ডোজ নিলে দেশবাসীদের আত্মবিশ্বাস বাড়বে। এবার সেই সুরেই সুর মেলালেন রাজ্যের বিরোধীপক্ষের এই নেতা।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের ইঙ্গিত অনুযায়ী, আগামী ১৩ জানুয়ারি হয়তো দেশে শুরু হয়ে যাবে টিকাকরণ। তার আগে আজ শুক্রবার সারা দেশের ৭৩৬টি জেলায় শুরু হয়েছে করোনা ভ্যাকসিনের চূড়ান্ত ড্রাই রান (Dry run)। ইতিমধ্যেই বিতর্ক শুরু হয়েছে ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিন নিয়ে। তার মধ্যেই বিরোধী নেতাদের কটাক্ষ বিতর্কে নতুন মাত্রা যোগ করল।
[আরও পড়ুন: ধন্যি পরোপকার! নিজের গয়না বিক্রি করে রূপান্তরকামীদের জন্য জমি কিনলেন মহিলা]
কোভ্যাক্সিন নিয়ে বিরোধীদের অভিযোগ, তৃতীয় দফার ট্রায়ালের আগেই সম্মতি দেওয়া হয়েছে এই টিকাকে। সরকার তাড়াহুড়ো করে এমনটা করেছে বলে আক্রমণ শানিয়েছে কংগ্রেস-সহ দেশের অনেক বিরোধী দলই। এদিকে সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব ভ্যাকসিনকে ‘বিজেপির ভ্যাকসিন’ বলে কটাক্ষ করে বিতর্কে জড়িয়েছেন। পরে অবশ্য তিনি বলেন, বিজ্ঞানীদের কোনও অসম্মান করেননি তিনি। কেবল সরকারের দায়িত্ববোধের সমালোচনা করতেই এমনটা বলেছেন। সব মিলিয়ে টিকাকরণ শুরুর আগেই বিরোধীদের সম্মিলিত সমালোচনার মুখোমুখি হতে হচ্ছে গেরুয়া শিবিরকে।
আগামী সপ্তাহ থেকেই দেশে টিকাকরণের পরিকাঠামো প্রস্তুত বলে আগেই জানিয়ে দিয়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ জানিয়েছেন, চূড়ান্ত অনুমতি পেয়ে যাওয়ার দশ দিনের মধ্যেই টিকাকরণ শুরু করে দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। গত রবিবারই সেই অনুমতি দেওয়া হয়। ফলে মনে করা হচ্ছে, ১৩ জানুয়ারিই হয়তো দেশজুড়ে শুরু হয়ে যাবে টিকাকরণ।