সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কংগ্রেস-ন্যাশনাল কনফারেন্সের নির্বাচনী ইস্তেহারকে 'সমর্থন' করেছে পাকিস্তান। এবার সেই বিষয়টিকে হাতিয়ার করে বিরোধীদের তোপ দাগলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। জম্মু-কাশ্মীরে দাঁড়িয়ে মোদির দাবি, ভারতে কেউ কংগ্রেস ও তার জোটসঙ্গীদের পাত্তা দেয় না। কিন্তু পাকিস্তানে তাদের নিয়ে রীতিমতো 'বল্লে বল্লে' শুরু হয়ে গিয়েছে। কারণ পাকিস্তান আর কংগ্রেসের অ্যাজেন্ডা একই।
১০ বছর বাদে বিধানসভা নির্বাচন হচ্ছে কাশ্মীরে। ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের পর প্রথমবার। ইতিমধ্যেই প্রথম পর্বের ভোট মিটেছে। ন্যাশনাল কনফারেন্স নিজেদের ইস্তেহারেই স্পষ্ট বলেছে রাজ্যে তারা ক্ষমতায় এলে ৩৭০ ধারা ফেরানোর প্রক্রিয়া শুরু করা হবে। একই প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী পিডিপিও। কংগ্রেস সরাসরি ৩৭০ ধারা ফেরানোর কথা না বললেও এই ইস্যুতে রাহুল গান্ধীরা নীরব। কংগ্রেস অবশ্য কাশ্মীরকে পূর্ণরাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়ার কথা নিজেদের ইস্তেহারে জানিয়েছেন।
একটি সাক্ষাৎকারে সেই ইস্তেহার নিয়ে মুখ খুলেছেন পাক সরকারের বিদেশমন্ত্রী খোয়াজা আসিফ। তিনি বলেন, সংবিধানের ৩৭০ ধারা এবং ৩৫-এ অনুচ্ছেদ ফেরানো নিয়ে কংগ্রেস এবং ন্যাশনাল কনফারেন্সের জোটের সঙ্গে পাকিস্তানের ভাবনা মিলে যায়। তিনি বলেন, “আমার মনে হয় কাশ্মীরে কংগ্রেস-ন্যাশনাল কনফারেন্স জোটের ক্ষমতায় ফেরার সম্ভাবনা প্রবল। ওই জোট ৩৭০ ধারাকে ভোটের ইস্যু হিসাবে তুলে ধরেছে। আমাদের ভাবনাও ওই জোটের ভাবনার সঙ্গে মিলে যায়।”
পাক বিদেশমন্ত্রীর এই মন্তব্য প্রকাশ্যে আসতেই কংগ্রেস-ন্যাশনাল কনফারেন্সের জোটকে একহাত নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। কাটরায় নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে তিনি বলেন, "জোটের নির্বাচনী ইস্তেহারের ভূয়সী প্রশংসা করছে পাকিস্তান। তারা এই ইস্তেহার দেখে খুব খুশি। পাকিস্তানের মন্ত্রী পর্যন্ত এই ইস্তেহারের সমর্থন করছেন। তিনি বলছেন পাকিস্তান এবং এই জোটের অ্যাজেন্ডা একই। আসলে পাকিস্তানের অ্যাজেন্ডাকে কাশ্মীরে বাস্তবায়িত করতে চাইছে কংগ্রেসের জোট।" মোদির মতে, ভারতে কেউ কংগ্রেসের জোটকে গুরুত্ব দেয় না। কিন্তু পাকিস্তানে এই জোটের যথেষ্ট কদর রয়েছে।