সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিশ্বকে নিজের শক্তি দেখিয়েছে ভারত। জি-২০ সম্মেলনে গ্লোবাল সাউথের কণ্ঠস্বর হয়ে ওঠা থেকে শুরু করে চন্দ্রযানের সাফল্য-সংসদের বিশেষ অধিবেশন শুরুর আগে আত্মবিশ্বাসী মন্তব্য করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। সেই সঙ্গে জানালেন, ২০৪৭ সালের মধ্যেই ভারতকে উন্নত দেশ হিসাবে গড়ে তুলতে চাইছেন তিনি। বিশেষ অধিবেশন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এই অধিবেশন (Parliament Special Session) আয়তনে ছোট হলেও খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ একাধিক ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে এই বিশেষ অধিবেশনে।
সোমবার থেকে শুরু হয়েছে সংসদের বিশেষ অধিবেশন। তার আগে লোকসভার বাইরে দাঁড়িয়েই মিনিট পাঁচেকের জন্য ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী। একাধিক বিষয় উঠে আসে তাঁর বক্তব্যে। মোদি বলেন, “এই বিশেষ অধিবেশন হয়তো দৈর্ঘ্যে অনেক ছোট। কিন্তু এই বিশেষ অধিবেশনের গুরুত্ব অপরিসীম। কারণ এই অধিবেশনেই বেশ কয়েকটি ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ” প্রসঙ্গত, চলতি অধিবেশনে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিল নিয়ে আলোচনা হতে পারে বলেই জানা গিয়েছিল। তার মধ্যে রয়েছে নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের মতো বিলও।
[আরও পড়ুন: সিরাজকে একটা SUV উপহার দিন, আনন্দ মাহিন্দ্রার কাছে আবদার ভক্তর, ভাইরাল শিল্পপতির উত্তর]
অধিবেশনের শুরুতেই দেশের সাফল্যের কথা উঠে আসে প্রধানমন্ত্রীর মুখে। তিনি বলেন, জি-২০ সম্মেলনের মাধ্যমে বিশ্বের দরবারে নিজের শক্তি তুলে ধরেছে ভারত। আফ্রিকান ইউনিয়নকে এই গোষ্ঠীর সদস্যপদ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি গ্লোবাল সাউথের কণ্ঠস্বর হিসাবেও পরিচিত হয়েছে ভারত। চন্দ্রযান ৩-এর সাফল্যের বিষয়টি তুলে ধরতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, চাঁদের শিবশক্তি পয়েন্ট ভারতকে নতুন উদ্দীপনা জুগিয়েছে।
ভাষণ দিতে গিয়ে বিরোধীদেরও একহাত নেন প্রধানমন্ত্রী। সংসদের বাদল অধিবেশনের একটা বিরাট সময় ধরে নানা ইস্যুতে সংসদের দুই কক্ষেই প্রতিবাদ করেছেন বিরোধীরা। সেই আচরণকে বিঁধেই মোদি বলেন, “এই অধিবেশন খুবই ছোট। তাই নিজেদের পুরো সময় অধিবেশনের কাজেই দেওয়া উচিত সাংসদদের। কান্নাকাটির সময় তাঁরা অনেক পাবেন।”