সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আবহাওয়ার পূর্বাভাস আসার পর থেকেই ফণী আতঙ্কে জেরবার ছিল গোটা দেশ। বিশেষ করে ওড়িশা এবং বাংলার। কারণ, এই দুই রাজ্যেই ফণীর প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়ার কথা ছিল। সেই মতো প্রস্তুত ছিল রাজ্য এবং কেন্দ্র সরকার। দুই সরকারের তরফেই নিজেদের মতো প্রস্তুতি ছিল। বিপর্যয় মোকাবিলায় বিশেষ দল প্রস্তুত ছিল। তৈরি করা হয়েছিল ত্রাণ শিবির। আতঙ্ক কাটিয়ে বিদায় নিয়েছে ফণী। এবং, বিদায়ের সঙ্গে সঙ্গেই শুরু হয়েছে তৎপরতা। ইতিমধ্যেই ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানতে ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক এবং বাংলার রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠীকে ফোন করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কথা বলেছেন ওড়িশার রাজ্যপালের সঙ্গেও।
[আরও পড়ুন: ফণীর আঁচ আগেই পেয়েছিল! সৈকতে কচ্ছপের অনুপস্থিতিতে অবাক স্থানীয়রা]
ফণী আছড়ে পড়ার পর ওড়িশা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ওড়িশার অন্তত ১১টি জেলায় ভয়ঙ্কর প্রভাব পড়েছে ঘূর্ণিঝড়ের ৷এখনও পর্যন্ত অন্তত ১৫ জনের প্রাণহানি হয়েছে৷ ভেঙেছে বহু গাছ৷ উড়ে যায় জলের ট্যাঙ্ক, অধিকাংশ জায়গা বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন। স্বাভাবিকভাবেই উদ্বিগ্ন প্রধানমন্ত্রী এদিন সাতসকালেই কথা বলেছেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে। সেরাজ্যের রাজ্যপাল গণেশী লালের সঙ্গেও আলোচনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। প্রয়োজনে সমস্তরকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। জানিয়ে দিয়েছেন কেন্দ্র সবসময় রাজ্য সরকারের পাশে আছে। আগামী সোমবার তিনি ওড়িশা যাচ্ছেন বলেও জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
[আরও পড়ুন: জগন্নাথের কাছে হার ফণীর, প্রবল দাপটেও অক্ষত পুরীর মন্দির]
ওড়িশার তুলনায় এরাজ্যে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কম। এখনও ফণীর প্রভাবে বিরাট কোনও ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। তবে, প্রধানমন্ত্রী এরাজ্যের পরিস্থিতির খবরও নিয়েছেন। তিনি নিজেই টুইট করে জানিয়েছেন বাংলার রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠীর সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে। সরকার রাজ্যের পাশে আছে সেকথা জানিয়েও দিয়েছেন তিনি। যদিও, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলার কোনও খবর এখনও পাওয়া যায়নি। মোদি নিজেও সেকথা উল্লেখ করেননি। অনেকে প্রশ্ন তুলছেন, ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বললেন অথচ এরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ব্রাত্য কেন থেকে গেল? এসবের মাঝে অবশ্য রাজ্য সরকার ফণী আক্রান্তদের সবরকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছে।
The post ক্ষয়ক্ষতি জানতে ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী এবং বাংলার রাজ্যপালের সঙ্গে কথা মোদির appeared first on Sangbad Pratidin.