সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মুহূর্তের ঝড়ে কার্যত সব শেষ। প্রাণহানি, বাড়ি-ফসলের ক্ষতি। দিশাহারা পরিস্থিতি জলপাইগুড়ির ময়নাগুড়ির বিস্তীর্ণ এলাকার। X হ্যান্ডেলে শোকপ্রকাশ প্রধানমন্ত্রীর। বিজেপি নেতা-কর্মীদের বিপর্যয় বিধ্বস্তদের পাশে দাঁড়ানোর আর্জিও জানান তিনি।
মোদি লেখেন, “জলপাইগুড়ির ময়নাগুড়ি এলাকায় ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত বহু পরিবার। অনেকেই তাঁদের প্রিয়জনকে হারিয়েছেন। তাঁদের প্রতি আমার সমবেদনা। রাজ্যের আধিকারিকদের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের যথাযথ সহায়তা নিশ্চিত করতে বলেছি। আমি বাংলার সকল বিজেপি কর্মীদের অনুরোধ করব এই বির্পযয়ের সময় ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্য করুন। পাশে থাকুন।”
[আরও পড়ুন: কে বেশি বিষাক্ত? ‘গোখরো’ মিঠুন নাকি ‘চন্দ্রবোড়া’ অভিজিৎ! ভোটপ্রচারে চর্চায় কার্টুন]
উল্লেখ্য, রবিবার সন্ধ্যায় ৪-৫ মিনিটের ঝড়ে বিপর্যস্ত জলপাইগুড়ি। ঝড় শিলাবৃষ্টিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ময়নাগুড়ির বার্নিশ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা। বারোটি দল উদ্ধার কাজ চালাচ্ছে। বিপর্যয় মোকাবিলা দল নেমেছে। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত্যু হয়েছে পাঁচজনের। গাছ চাপা পড়ে মারাত্মভাবে জখম হয়েছেন ৫০ জন। তাঁদের মধ্যে অন্তঃসত্ত্বা থেকে অশীতিপর রয়েছেন প্রায় সকলেই। তাঁদের উদ্ধার করে প্রথমে ময়নাগুড়ি হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা করা হয়। পরে জলপাইগুড়ি এবং উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো হয়েছে। মৃত্যু হয়েছে পাঁচজনের। বিপর্যস্ত এলাকা রবিবার গভীর রাত পর্যন্ত সরেজমিনে পর্যবেক্ষণ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
কোচবিহারেও উড়েছে অন্তত দুশো বাড়ি। বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে বিপর্যস্ত হয়েছে বিস্তীর্ণ এলাকায় বিদ্যুৎ পরিষেবা। কোচবিহারের সদর মহকুমা শাসক কুনাল বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, কোচবিহার-২ নম্বর ব্লকের মরিচবাড়ি খোলটা গ্রাম পঞ্চায়েতে ঝড়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। অন্তত ৪০টি বাড়ি সেখানে ভেঙেছে। চারজন জখম হয়েছেন। তাদের চিকিৎসার জন্য আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। মাথাভাঙা-১ ব্লকের পচাগর, কুর্শামাড়ি জোরপাটকি এবং শিকারপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে প্রায় দুই শতাধিক বাড়ি উড়েছে। জখম হয়েছে অন্তত পাঁচজন। মাথাভাঙা-১ ব্লকের বিডিও শুভজিৎ মণ্ডল জানান, যে পাঁচজন জখম হয়েছেন তাঁদের চিকিৎসার জন্য মাথাভাঙা হাসপাতালে পাঠানো হয়।