রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: কোভিড (COVID-19)পরিস্থিতির কারণে এখনই বাংলার কোনও রাজনৈতিক কর্মসূচিতে যোগ দিতে চান না প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi)। আগামী ৩০ তারিখ বঙ্গ সফরে তিনি জনসভা করতে রাজি না হওয়ায় হতাশ বঙ্গ বিজেপির (BJP) নেতারা। তবে তাঁদের এক প্রতিনিধিদল প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে পারে বলে খবর। এ বিষয়ে এখনও চূড়ান্ত কিছু স্থির হয়নি।
একগুচ্ছ সরকারি কর্মসূচি নিয়ে ৩০ ডিসেম্বর রাজ্যে আসছেন প্রধানমন্ত্রী। জাতীয় গঙ্গা পরিষদের বৈঠকে থাকবেন তিনি। পাশাপাশি রেলের একাধিক প্রকল্পের সূচনা করারও কথা রয়েছে তাঁর। ওইদিন একটি জনসভা করার জন্য বঙ্গ বিজেপির তরফে প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ বার্তা পাঠানো হয়েছিল। পঞ্চায়েত ভোটকে (WB Panchayet Election) সামনে রেখে হাওড়ার ডুমুরজলা ময়দানে মোদিকে দিয়ে সভা করিয়ে হাওয়া তোলার পরিকল্পনা ছিল সাংগঠনিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়া রাজ্য বিজেপির। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর তরফ থেকে জনসভা করার অনুরোধ খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumder) বক্তব্য, ‘‘ডুমুরজলা ময়দানে প্রধানমন্ত্রীকে দিয়ে সভা করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কোভিডের কারণে সভা করবেন না প্রধানমন্ত্রী।’’ তবে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে পারে রাজ্য বিজেপির এক প্রতিনিধিদল।
[আরও পডুন: এক বছর বিনামূল্যে রেশন পাবেন ৮১ কোটি মানুষ! বড় ঘোষণা কেন্দ্রের]
একে এ রাজ্যের গেরুয়া শিবিরে নিচুতলায় কর্মীদের অভাব। বুথের লড়াইয়ের থেকে পঞ্চায়েত নির্বাচনে আইনি পথে থাকার উপর কি বেশি গুরুত্ব দিতে চাইছে বঙ্গ বিজেপি? আইনি বিভাগ (Legal Cell) গঠনে সেরকমই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। প্রশ্ন রয়েছে দলের মধ্যেও।
পঞ্চায়েত ভোটে মূল সমন্বয় কমিটির পাশাপাশি আরও কিছু বিভাগ গঠন করা হয়েছে। সেখানে সবচেয়ে বেশি সদস্য রাখা হয়েছে আইনি বিভাগে। এই সেলের দায়িত্বে রয়েছেন ৬ জন আইনজাবী। লিগাল ইনচার্জ করা হয়েছে আইনজীবী লোকনাথ চট্টোপাধ্যায়কে। পঞ্চায়েত কমিটিতে পুলিশ-প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় রক্ষার জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে প্রাক্তন আইপিএস ভারতী ঘোষ ও দলের রাজ্য নেতা অভিজিৎ দাসকে। পাশাপাশি অর্থ সংক্রান্ত বিভাগে ইনচার্জ রয়েছেন আশিস বাপাট, অন্যতম কো-ইনচার্জ রয়েছেন রাজ্য নেতা দেবাঞ্জন চট্টোপাধ্যায়।