সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রয়াত বলিউড অভিনেতা-পরিচালক সতীশ কৌশিকের স্ত্রী শশী কৌশিককে শোকপ্রকাশ করে চিঠি পাঠালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রধানমন্ত্রীর এই চিঠি পেয়ে তাঁকে ধন্য়বাদ জানিয়েছেন শশী কৌশিকও। সেই চিঠিই টুইটারে শেয়ার করলেন সতীশ কৌশিকের বন্ধু তথা অভিনেতা অনুপম খের। সেই টুইটেই শশী কৌশিকের বয়ান তুলে ধরলেন অনুপম। নরেন্দ্র মোদিকে শশী লিখলেন, ”এই সংবেদনশীল ও কঠিন সময় পাশে থাকার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। এই সময় সত্যিই মনের জোরের প্রয়োজন। আপনার এই চিঠি আমার মন শক্ত করতে সাহায্য করবে।”
[আরও পড়ুন: বুকের ওপর শুধুই জমকালো ফিতে! উরফির ছবি দেখে বিয়ের প্রস্তাব নেটিজেনদের]
প্রসঙ্গত, সতীশ কৌশিকের মৃত্যুর দুদিনের মধ্যেই পুলিশের হাতে এল এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। পুলিশ সূত্র থেকে পাওয়া খবর অনুযায়ী, সতীশের ফার্ম হাউস থেকে উদ্ধার হয়েছে বেশ কিছু ওষুধ। এই ‘নিষিদ্ধ’ ওষুধ কে ব্যবহার করতেন তা জানার চেষ্টাই করা হচ্ছে। জানা গিয়েছে, এই ফার্ম হাউসে সম্প্রতি হোলির পার্টি অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সেই পার্টিতে কারা কারা উপস্থিত ছিলেন তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। তবে পুলিশ অপেক্ষা করছে সতীশ কৌশিকের ময়নাতদন্তের রিপোর্টের জন্য।
অন্যদিকে ৪৫ বছর ধরে চলা বন্ধুত্বে যেন ইতি পড়ল সতীশের প্রয়াণে। সোশ্যাল মিডিয়ায় বার বার এ কথাই বলে চলেছেন অনুপম খের। শনিবার টুইটারে একটি ভিডিও পোস্ট করে অনুপম খের সতীশ ও তাঁর বন্ধুত্বের নস্ট্যালজিয়ায় ভেসে গেলেন। বন্ধুর উদ্দেশ্যে লিখলেন, খোলা চিঠি।
১৯৫৬ সালের ১৩ এপ্রিল জন্ম সতীশ কৌশিকের। অভিনেতা হিসেবেই হিন্দি ছবির জগতে যাত্রা শুরু। ১৯৮৩ সালে ‘জানে ভি দো এয়ারো’ ছবিতে দেখা যায় তাঁকে। পরবর্তীকালে অসংখ্য ছবিতে কমেডিয়ানের ভূমিকায় তথা চরিত্রভিনেতা হিসেবেও দেখা যায় সতীশকে। ‘মিস্টার ইন্ডিয়া’ ছবিতে ক্যালেন্ডারের চরিত্রে তাঁর অভিনয় ভুলবে না হিন্দি ছবির দর্শক। অন্যদিকে ১৯৯৩ সালে ‘রূপ কি রানি চোরোঁ কা রাজা’ ছবির হাত ধরে পরিচালনায় হাতে খড়ি। এরপর ‘হম আপকে দিল মে রেহতে হ্যায়’, ‘মুঝে কুছ কেহনা হ্যায়’-এর মতো ছবি পরিচালনা করেন। সলমন খান অভিনীত ‘তেরে নাম’ ছবির হাত ধরে পরিচিতি বাড়ে পরিচালক সতীশ কৌশিকের। সতীশের মৃত্যুতে ভারতীয় সিনে দুনিয়ার একটি অধ্যয়ের অবসান হল।