সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আর তাঁবুতে থাকবে না আমাদের রামলালা। বহু তপস্যার পর ঘরে ফিরেছেন তিনি। কিন্তু এই ঘরে ফেরা সহজ ছিল না। অগুনতি ‘বলিদান’ ও বহু অপেক্ষার পর এই মুহূর্ত এসেছে বলেই মত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। মন্দির প্রতিষ্ঠা আরও আগে হওয়া উচিত ছিল বলে আক্ষেপ নমোর। ২২ জানুয়ারি মন্দির উদ্বোধনের হাত ধরেই নয়া কালচক্রের শুরু হল। সময়ের চাকা নতুন দিশায় গড়াবে। এবার থেকে সব ভালো হবে, রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠার পর বলছেন প্রধানমন্ত্রী।
রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠার আগে নিজেকে শুদ্ধ করতে গত ১১ দিন ধরে কঠোর সংযম পালন করেছেন নমো। এদিন উপোস করে প্রধান যজমান হিসেবে রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা করেন। এর পর মন্দিরের সামনের মঞ্চে মহারাজ গোবিন্দ দেবজির হাত থেকে চরণামৃত নিয়ে উপোস ভাঙেন তিনি। আবেগতাড়িত গলায় বক্তব্য রাখতে শুরু করেন। শুরুতেই মোদি বলেন, “অনেক কিছু বলার আছে। কিন্তু আমার শরীর স্পন্দিত , আবেগে গলা বুজে আসছে।” তার পরই মন্দির তৈরির ইতিহাসে বহু মানুষের বলিদানের স্মরণ করেন মোদি।
[আরও পড়ুন: রামমন্দির উদ্বোধনের আগে প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা রাষ্ট্রপতির, কী জবাব দিলেন মোদি?]
বলেন, “আর তাঁবুতে বাস করবেন না রামলালা। কয়েক শতক পর বহু তপস্যার পর নিজের ঘরে ফিরেছেন।” তবে প্রধানমন্ত্রীর আক্ষেপ, “আমরা হয়তো ঠিক করে আরাধনা করতে পারিনি। তাই রামলালাকে ঘরে ফেরাতে অনেকটা সময় লেগে গেল। আরও আগে এই মন্দির প্রতিষ্ঠা করা উচিত ছিল। তবে এবার সেই আরাধনা সম্পূর্ণ হল।” সঙ্গে তাঁর সংযোজন, “রামসেতু পেরিয়ে যখন যাত্রা শুরু করেন রাম তখন নতুন সময় চক্রের সূচনা হয়েছিল। এবার মন্দির প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে নতুন সময়চক্রের সূচনা হল। এবার থেকে সব শুভ হবে।”
বনবাস যাত্রায় মাত্র ১৪ বছর নিজের রাজ্য থেকে দূরে ছিলেন রামচন্দ্র। কিন্তু বর্তমান ভারতে শ্রীরামের সঙ্গে অযোধ্যা ও দেশবাসীর মধ্যে কয়েকশো বছরের দূরত্ব ছিল। ২২ জানুয়ারি সেই দূরত্ব দূর হল, মত প্রধানমন্ত্রীর।