সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Narendra Modi) ভোটকেন্দ্র বারাণসীতে (Varanasi) ইতিমধ্যে জোরকদমে প্রচার শুরু করে দিয়েছে বিজেপি (BJP)। কাশি বিশ্বনাথ মন্দিরে তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার মনস্কামনায় পুজোও দিয়েছেন মোদি। শনিবার ভোট ঘোষণার পর দেখা গেল মোদির কেন্দ্রে ভোট হবে এক্কেবারে শেষে, সপ্তম দফায় অর্থাৎ ১ জুন। এই অবসরে গোটা দেশে ভোটপ্রচার সেরে নিতে পারবেন নমো। প্রশ্ন উঠছে, প্রচারে কী বাড়তি সুবিধা পাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী?
ইতিমধ্যে পশ্চিমবঙ্গ-সহ একাধিক রাজ্যে প্রচার শুরু করে দিয়েছেন মোদি। বাংলায় এসেছেন একাধিকবার। ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণার পর গতি বাড়বে দেশজুড়ে প্রচারে। বিরোধীরাও শুরু করে দিয়েছেন প্রচারপর্ব। মনে করা হচ্ছে কংগ্রেস (Congress) নেত্রী প্রিয়ঙ্কা গান্ধী উত্তরপ্রদেশের রায়বরেলীতে প্রার্থী হচ্ছেন। সেক্ষেত্রে তাঁর আসনে ভোটগ্রহণ পঞ্চম দফায় অর্থাৎ ২০ মে। অন্যদিকে রাহুল গান্ধী গতবার কেরলের ওয়েনাড় আসন থেকে জিতেছিলেন। ওই আসনে দাঁড়ালে ভোটগ্রহণ দ্বিতীয় দফায় ২৬ এপ্রিল।
[আরও পড়ুন: বাংলায় ৭ দফায় নির্বাচন, কোন লোকসভা কেন্দ্রে কবে ভোট? রইল পূর্ণাঙ্গ তালিকা]
অন্যদিকে বাজপেয়ী, আডবাণী স্মৃতি উসকে দেওয়া গুজরাটের গন্ধীনগরে প্রার্থী অমিত শাহ। নির্বাচন কমিশনের সূচি অনুযায়ী যেখানে তৃতীয় দফায় ভোটগ্রহণ হতে চলেছে। এর ফলে দেশজুড়ে প্রচারের মধ্যেই নিজের আসনে সময় দিতে হবে শাহকে। যা কিছুটা হলেও অস্বস্তি ফেলবে বিজেপি শিবিরের দু’নম্বর মুখকে। তবে মোদির ক্ষেত্রে সেই সমস্যা থাকছে না। যেহেতু বারাণসীতে ভোট হবে সপ্তম দফায়। গোটা দেশে প্রচার শেষ করে নিজের আসনে থিতু হতে পারবেন প্রধানমন্ত্রী। এহেন ‘বাড়তি সুবিধা’ নিয়ে প্রশ্ন তুলছে বিরোধীদের একাংশ।