সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নির্বাচনের মধ্যেই ১৯৮৪-র শিখ দাঙ্গা নিয়ে বৃহস্পতিবার বিতর্কিত মন্তব্য করে কংগ্রেসকে ফাঁপরে ফেলছেন দলের শীর্ষ নেতা তথা রাহুল গান্ধীর মেন্টর স্যাম পিত্রোদা৷ ওইদিনই তাঁর করা ‘হুয়া তো হুয়া’ মন্তব্যের কড়া সমালোচনা করেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ৷ তবে এখানেই শেষ নয়৷ এবার এই ইস্যুতে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে আক্রমণের ঝাঁজ বাড়ালেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷ হরিয়ানার রোহতকের জনসভা থেকে তিনি জানান, শ্যাম পিত্রোদার বক্তব্যের দ্বারাই কংগ্রেসের মানসিকতা ও চরিত্র বোঝা যায়৷
[ আরও পড়ুন: ছুটি কাটাতে রণতরী ব্যবহার করেননি রাজীব গান্ধী, দাবি প্রাক্তন নৌসেনা প্রধানের ]
কংগ্রেসকে এক হাত নিয়ে এদিন প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘যে কংগ্রেস দীর্ঘসময় ধরে দেশ শাসন করেছে৷ গতকালের তিনটে শব্দ তাঁদের অসংবেদনশীলতার প্রমাণ দিয়েছে৷ এই তিনটে শব্দই কংগ্রেসের মানসিকতা ও চরিত্রের প্রকাশ ঘটায়৷ তাঁদের মধ্যে যে ঔদ্ধত্য রয়েছে, তারই বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে এই তিনটি শব্দের মাধ্যমে৷ আপনারা জানেন কে এই কংগ্রেস নেতা? উনি হলেন, রাজীব গান্ধীর বন্ধু৷ কংগ্রেস সভাপতির গুরু৷’’ এই একই ইস্যুতে কংগ্রেস সভাপতির জবাব চান কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলিও৷ তিনি জানতে চান, ‘‘এই মন্তব্যের পর কি তাঁর রাজনৈতিক গুরুকে বহিষ্কার করবেন রাহুল গান্ধী?’’ নির্বাচনের মধ্যে তাঁর এমন আলটপকা মন্তব্য যে দলকে বিপাকে ফেলেছেন তা সম্ভবত বুঝতেই পেরেছেন স্যাম পিত্রোদা৷ সেকারণেই, শুক্রবার সকালে বিষয়টি ঠান্ডা করার চেষ্টা করেন তিনি৷ পাঞ্জাবের স্বর্ণমন্দিরের বেশ কিছু ছবি টুইটারে আপলোড করেন তিনি৷ জানান, গত ৮ মে স্বর্ণমন্দিরে আশীর্বাদ নিতে গিয়েছিলেন তিনি।
[ আরও পড়ুন: অযোধ্যা বিবাদে মধ্যস্থতার সময় বাড়াল সুপ্রিম কোর্ট ]
স্যাম পিত্রোদার বক্তব্যের পর বৃহস্পতিবার অমিত টুইটারে লেখেন, ‘‘ওই মন্তব্যের ফলে গোটা শিখ সম্প্রদায়ের মানুষ উদ্বিগ্ন। ’৮৪-র দাঙ্গায় কংগ্রেস নেতাদের হাতে যে শিখদের মৃত্যু হয়েছিল, তাঁদের পরিবাররা এখনও ভুগছেন। আর সেই সব কিছুকেই উনি (স্যাম) মাত্র তিনটি কথায় ‘হুয়া তো হুয়া’ (হয়েছে তো কী হয়েছে?) বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। নস্যাৎ করে দিয়েছেন। এটা কেন্দ্রীয় সরকারের ধর্মনিরপেক্ষ মতাদর্শের উপর আঘাত। ভারত কখনওই ওই পাপের জন্য খুনি কংগ্রেসকে ক্ষমা করবে না।’’
The post শিখ দাঙ্গা নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য স্যাম পিত্রোদার, মোদির নিশানায় কংগ্রেস appeared first on Sangbad Pratidin.