সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আফগানিস্তানে (Afghanistan) কায়েম হয়েছে তালিবানের শাসন। পাহাড়ি দেশটিতে শক্তিবৃদ্ধি করছে আল কায়দা ও ইসলামিক স্টেটের মতো সন্ত্রাসবাদী সংগঠন। এহেন পরিস্থিতিতে আঞ্চলিক নিরাপত্তায় জোর দিতে বৃহস্পতিবার মধ্য এশিয়ার রাষ্ট্রনেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
[আরও পড়ুন: আমেরিকায় আটকে আফগানিস্তানের টাকা, ওয়াশিংটনের কাছে দরবার তালিবানের]
এদিন ‘ইন্ডিয়া-সেন্ট্রাল এশিয়া সামিটে’ মধ্য এশিয়ার পাঁচটি দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের সঙ্গে ভারচুয়াল বৈঠকে বসবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ওই সম্মেলনে অংশ নিচ্ছেন কাজাখস্তানের প্রেসিডেন্ট কাসিম জোমার্ট টোকায়েভ, উজবেকিস্তানের প্রেসিডেন্ট শাভকাত মিরজাইওইয়েভ, তাজিকিস্তানের প্রেসিডেন্ট এমোমালি রহমন, তুর্কমেনিস্তানের প্রেসিডেন্ট গুরনাঙ্গুলি বেরদিমুহামেদেও এবং কিরঘিজস্তানের সাদির জাপারোভ। আফগানিস্তানে তালিবানের উত্থানের কথা মাথায় রেখে আঞ্চলিক নিরাপত্তা নিয়ে রাষ্ট্রপ্রধানদের মধ্যে আলোচনা হবে বলে খবর।
ভারতের বিদেশমন্ত্রক সূত্রে খবর, মধ্য এশিয়ার রাষ্ট্রনেতাদের সঙ্গে এহেন সম্মেলন এই প্রথম। ইন্ডিয়া-সেন্ট্রাল এশিয়া পার্টনার্শিপ বা ভারতের সঙ্গে মধ্য এশিয়ার দেশগুলির সহযোগিতা যে কতটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এই বৈঠক সেটাই স্পষ্ট করছে। বলে রাখা ভাল, গত বছরের নভেম্বর মাসে নয়াদিল্লিতে আফগান পরিস্থিতি নিয়ে নিরাপত্তা বৈঠকে শামিল হন মধ্য এশিয়ার দেশগুলির নিরাপত্তা পরিষদের কর্তারা। অধুনা সোভিয়েত ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত মধ্য এশিয়ার এই পাঁচটি দেশের সঙ্গে ভারতের সখ্য বরাবরের। ২০১৫ সালে আফগানিস্তান লাগোয়া দেশগুলিতে সফরে যান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
উল্লেখ্য, গত ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান দখল করে তালিবান। নতুন করে শুরু হয় অন্ধকার যুগের। তারপর থেকেই আশঙ্কিত গোটা বিশ্ব। তালিবানি তাণ্ডবের (Taliban Terror) বীভৎস চেহারা সারা বিশ্বকে দেখতে হয়েছে। প্রাণ বাঁচাতে রাস্তায় উন্মত্তের মতো ছুটেছে সাধারণ মানুষ। বিশিষ্টরাও বাদ যাননি। তারপর থেকেই চরম অর্থ-সামাজিক ও অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের মুখে দাঁড়িয়ে আফগানিস্তান।ফলে হাতিয়ার ও জেহাদের কারখানা চালাতে মাদক পাচার আরও বাড়িয়ে তুলেছে তালিবান। এহেন পরিস্থিতিতে স্বভাবিকভাবেই উদ্বিগ্ন নয়াদিল্লি।