রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: প্রধানমন্ত্রীর ব্রিগেড জনসভার রেশ এখনও কাটেনি। এর মধ্যে রাজ্যে তাঁর দ্বিতীয়দফা কর্মসূচির দিনক্ষণ জানিয়ে দিল বিজেপি। ব্রিগেড জনসভার ১১ দিনের মাথায় ফের রাজ্যে আসছেন নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi)। সভা করবেন পুরুলিয়া ও কাঁথিতে।
এবার বাংলায় সরকার গড়তে মরিয়া গেরুয়া শিবির। সেই উদ্দেশে রাজ্যে যাতায়াত করছেন কেন্দ্রীয় নেতারা। নির্বাচনী আবহে বাংলায় প্রধানমন্ত্রীর ২০টি জনসভা-ব়্যালি করার কথা। শাহ করবেন অন্তত ৫০টি সভা। এর মধ্যে নিজের মেগা শো ব্রিগেডে সেরে ফেলেছেন মোদি। এমন পরিস্থিতিতে সোমবার বিজেপির তরফে জানানো হয়েছে, ১৮ মার্চ পুরুলিয়া ও ২০ মার্চ কাঁথিতে সভা করবেন মোদি। মেদিনীপুর শহরে আরেকটি সভা করার কথা রয়েছে তাঁর।
[আরও পড়ুন : টিকিট পেয়েও বেসুরো, এবার বিজেপিতে যাচ্ছেন হবিবপুরের তৃণমূল প্রার্থী!]
রাজনৈতিক মহল বলছে, পুরুলিয়া বিজেপির শক্তঘাঁটি। পঞ্চায়েত নির্বাচন থেকে লোকসভা ভোট, সবেতেই উল্লেখযোগ্য ফল করছে বিজেপি। কিন্তু সেই শক্তঘাঁটিতে এবার পদ্মশিবিরের জয়ের পথে কাঁটা হতে পারে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। এই আবহে পুরুলিয়ায় সভা করবেন প্রধানমন্ত্রী। ১৮ মার্চ ফের রাজ্যে আসবেন প্রধানমন্ত্রী। তবে পুরুলিয়ার কোথায় সভা হবে তা এখনও নিশ্চিত হয়নি।
এদিকে ভোটের মরশুমে বাংলার হটস্পট নন্দীগ্রাম। সেখানে লড়াই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বনাম তাঁর প্রাক্তন ‘সৈনিক’ শুভেন্দু অধিকারীর। এবার শুভেন্দুর হয়েও প্রচারে নামছেন মোদি। ২০ মার্চ কাঁথিতে সভা করবেন তিনি। মেদিনীপুরেও আরও একটি সভা করতে পারেন প্রধানমন্ত্রী।
এদিকে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতাদের ঘনঘন আসা যাওয়া নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি তৃণমূল। তাঁদের কটাক্ষ, রাজ্যস্তরে বিজেপির কোনও মুখ নেই। তাই দিল্লি থেকে বারবার বিজেপি নেতাদের ছুটে আসতে হচ্ছে। একা প্রধানমন্ত্রীই কুড়িটির বেশি সভা করছেন। যদিও তৃণমূলের সেই কটাক্ষকে পাত্তা দিতে নারাজ বিজেপি। তাঁদের দাবি, নরেন্দ্র মোদি শুধুমাত্র প্রধানমন্ত্রী নন, বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতাও। তাই রাজ্যে নির্বাচন জিততে কেন্দ্র-রাজ্যের নেতারা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়ছেন। তাই এ রাজ্যে বারবার আসছেন প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী-সহ একঝাঁক কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা।