সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তিনি এলেন, খেলেন, মন জয় করে চলে গেলেন। স্থান- সংসদের ক্যান্টিন। যেখানে মধ্যাহ্নভোজ সারলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। খাবার খাওয়ালেন অন্যান্য সাংসদদেরও। শুক্রবারের দুপুরে সকলের সঙ্গে খোশ মেজাজে ধরা দিলেন তিনি। হাসি-মজায় জমে যায় লাঞ্চের টেবিল। তাঁর এই আপ্যায়ণে অভিভূত সকলে। কী কী খাওয়ালেন প্রধানমন্ত্রী?
জানা গিয়েছে, বাজেট অধিবেশন চলাকালীন দুপুর আড়াইটে নাগাদ প্রধানমন্ত্রী মোদির মধ্যাহ্নভোজের আমন্ত্রণ পান আট সাংসদ। নিজেই সকলকে ডেকে নিয়ে যান মোদি। সেই সময়ও সকলের সঙ্গে মজা করেন তিনি। গম্ভীর সুরে সাংসদদের বলেন, “আমি আজকে আপনাদের শাস্তি দেব। চলুন আমার সঙ্গে।” একথা শুনে সকলেই প্রথমে চমকে যান। তার পরে বুঝতে পারেন দুপুরের খাবারের জন্য সকলকে ডেকেছেন প্রধানমন্ত্রী। খাবারের তালিকায় ছিল, ভাত, ডাল, খিচুড়ি এবং তিলের লাড্ডু।
[আরও পড়ুন: অমিত ‘দরবারে’ চন্দ্রবাবুর পরই মোদি সাক্ষাতে জগন, অন্ধ্রে চলছে কোন খেলা?]
এই আট জনের মধ্যে বিজেপি সাংসদের পাশাপাশি ছিলেন অন্য দলের সাংসদেরাও। মোদির সঙ্গে সংসদের ক্যান্টিনে মধ্যাহ্নভোজে যোগ দিয়েছিলেন বিজেপি সাংসদ হিনা গাভিত, এস ফাংগন কোনিয়াক, জাময়াং সেরিং নামগিয়াল, এল মুরুগান। ছিলেন তেলুগু দেশম পার্টি (টিডিপি)-র সাংসদ রামমোহন নাইডু, বহুজন সমাজ পার্টি (বিএসপি)-র সাংসদ রীতেশ পাণ্ডে এবং বিজু জনতা দল (বিজেডি)-এর সাংসদ সস্মিত পাত্রও। প্রায় ৪৫ মিনিট ধরে চলে মধ্যাহ্নভোজ পর্ব। খাবার খেতে খেতে প্রধানমন্ত্রীর জীবনযাপনের কথা উঠে আসে। তিনি কখন ঘুম থেকে ওঠেন, কী কী খাবার খান, কীভাবে ব্যস্ত সময়সূচি সামলান এই সব কিছু নিয়েই সকলে গল্পে মেতে ওঠেন।
এনিয়ে মধ্যাহ্নভোজে উপস্থিত একজন সাংসদ সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘‘সংসদের ক্যান্টিনে দুপুরের খাবারের জন্য প্রধানমন্ত্রী আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। আমাদের মধ্যে সৌহার্দ্য বিনিময় হয়েছে। গল্প হয়েছে। খুব ভাল সময় কেটেছে।’’ অন্য আরেক সাংসদের কথায়, ‘‘একবারের জন্যও মনে হয়নি আমরা কোনও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বসেছিলাম।” এদিনের নানা ছবি এক্স হ্যান্ডেলে শেয়ার করে প্রধানমন্ত্রী মোদিও। তিনি লেখেন ‘একটা চমৎকার মধ্যাহ্নভোজ উপভোগ করেছি। ভারতের বিভিন্ন প্রান্তের ও বিভিন্ন দলের মানুষদের সঙ্গে দারুন সময় কাটালাম। সকলকে ধন্যবাদ।’