সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ব্রিকসের (BRICS) মঞ্চেও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে সরব হলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সওয়াল করলেন আন্তর্জাতিক সংগঠনের সংস্কার নিয়েও। মঙ্গলবার ব্রিকস সম্মেলনের ভারচুয়াল মঞ্চে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী। উপস্থিত ছিলেন চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংও।
সন্ত্রাসবাদ থেকে করোনার ভ্যাকসিন, বহুত্ববাদ থেকে থেকে আন্তর্জাতিক সংগঠনের সংস্কার, সবই উঠে এল ব্রিকস সম্মেলনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) ভাষণে। এদিন ব্রাজিল, রাশিয়া, চিন, দক্ষিণ আফ্রিকার রাষ্ট্রনেতাদের সামনেই রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ সংগঠনগুলির সংস্কারের দাবি জানান তিনি। ভারতের প্রধানমন্ত্রীর কথায়, “সময়ের সঙ্গে বদলায়নি বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ সংগঠনগুলি। আর তাই এদের গ্রহণযোগ্যতা ঘিরে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।” মোদির কথায়, দ্রুত WTO, IMF, UN, WHO-এর সংস্কার প্রয়োজন।
[আরও পড়ুন : তামিল রাজনীতিতে বড় চমক, করুণানিধির ছেলের বিজেপি যোগ নিয়ে জল্পনা]
এদিনের সম্মেলনে মঞ্চ থেকে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাঁর কথায়, “আজকের দুনি্য়ায় সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ সন্ত্রাসবাদ।” নাম না করেই পাকিস্তান-চিনকে বার্তাও দিলেন তিনি। এ প্রসঙ্গে মোদি বলেন, “যে সমস্ত দেশ এখনও সন্ত্রাসবাদীদের আশ্রয় দিচ্ছে, নাশকতাকে সমর্থন করছে তারা যেন দায়িত্ব না এড়ায়। সন্ত্রাস রুখতে তারা যেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আমাদের প্রয়োজন তাদের সমঝে দেওয়া।” বিভিন্ন দেশ একাধিকবার অভিযোগ করেছে, ছলে-বলে চিন বিশ্বে একাধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা করছে। এ দিনে সেই চিনের রাষ্ট্রনায়েকের সামনেই বিশ্বে বহুত্ববাদের পক্ষেও সওয়াল করলেন মোদি। তাঁর কথায়, ভারত বহুমুখী প্রতিযোগিতার সমর্থক।
এদিনও করোনা মহামারী পরিস্থিতিতে ভ্যাকসিন আনতে ভারতের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথাও আরও একবার তুলে ধরলেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর কথায়, মহামারী পরিস্থিতিতে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে করোনার ভ্যাকসিন পৌঁছে দিতে বদ্ধপরিকর ভারত।
[আরও পড়ুন : ‘সম্বিত পাত্রের জন্যই জনপ্রিয় হয়েছে পুরী’, আজব দাবি ওড়িশার বিজেপি নেত্রীর]
এদিনের সম্মেনলে হাজির ছিলেন চিনের প্রেসিডেন্টও। লাদাখ সীমান্তের উত্তেজক পরিস্থিতিতে সাতদিনের মধ্যে দুই দেশের প্রধান দ্বিতীয়বার মুখোমুখি হলেন।স্বাভাবিকভাবেই এই সম্মেলেনর দিকে তাকিয়ে ছিল গোটা বিশ্ব। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে এদিনে সম্মেলন থেকে চিনের উদ্দেশ্যে কোনও বার্তা দেননি মোদি।