সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিদেশ সফরে খরচের প্রশ্ন তুলে প্রধানমন্ত্রীর অস্বস্তি বাড়ালেন বিরোধীরা। প্রধানমন্ত্রীর বিদেশ সফরে রাজকোষ ফাঁকা হয়েছে অনেকটাই। বিরোধীদের এই দাবি অনেকদিনের। এ নিয়ে তথ্য জানার অধিকার আইনে সরকারের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, গত সাড়ে চার বছরে প্রধানমন্ত্রীর বিদেশ সফরে মোট কত কোটি টাকা খরচ হয়েছে? সংসদে পেশ হওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, গত চার বছরে ৮৪টি দেশে সফর করেছেন প্রধানমন্ত্রী। মোট বিমান ভাড়ার খরচই ২০০০ কোটি টাকারও বেশি। বিরোধীদের অভিযোগ কিংবা কোনও সূত্রের দেওয়া তথ্য নয়। ক্ষমতায় আসার পর থেকে গত সাড়ে চার বছরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিদেশ সফর নিয়ে এটাই সরকারি হিসেব। এই হিসেব দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীরই সহকর্মী, বিদেশমন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী ভি কে সিং।
[সভাপতি হওয়ার একবছর পরও সোনিয়ার ছায়া থেকে বেরতে পারলেন না রাহুল!]
কিন্তু পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা ভোটের রাজনৈতিক চর্চার মধ্যেও এই প্রসঙ্গ এল কীভাবে? বৃহস্পতিবার রাজ্যসভায় প্রশ্নোত্তর পর্বে এ নিয়ে তথ্য চান কেরলের সিপিএম সাংসদ বিনয় বিশ্বম। তিনি জানতে চান, প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর গত সাড়ে চার বছরে মোদি কতগুলি দেশ সফর করেছেন। এই সফরগুলিতে তাঁর সফরসঙ্গী কারা ছিলেন, কী চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে এবং এয়ার ইন্ডিয়াকে কত টাকা দিতে হয়েছে এসব তথ্যও চান বিশ্বম। ২০১৪ সালের ২৬ মে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদি। বিনয় বিশ্বমের প্রশ্নের উত্তরে ভি কে সিংহ হিসেব দিয়েছেন ১৫ জুন, ২০১৪ থেকে ৩ ডিসেম্বর ২০১৮ পর্যন্ত প্রায় সাড়ে চার বছরের। এই সময়ের মধ্যে ৮৪টি দেশ সফর করতে মোট খরচ হয়েছে ২১২১.৫৮ কোটি টাকা। কোন খাতে কত খরচ হয়েছে, তাও জানিয়েছেন বিদেশ প্রতিমন্ত্রী। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি খরচ হয়েছে বিমান রক্ষণাবেক্ষণে, ১৫৮৩ কোটি ১৮ লক্ষ টাকা। এছাড়া চার্টার্ড বিমানের জন্য সরকারি কোষাগার থেকে গিয়েছে ৪২৯ কোটি ২৮ লক্ষ এবং নিরাপদ হটলাইনের জন্য খরচ হয়েছে ৯ কোটি ১২ লক্ষ টাকা। তবে এই হটলাইনের খরচ ধরা হয়েছে ২০১৪ থেকে ২০১৭ এই তিন বছরে।
[সোনিয়ার মত নিয়েই রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী বাছলেন রাহুল]
‘এনআরআই’(প্রবাসী ভারতীয়) প্রধানমন্ত্রী বলে বিরোধীরা বরাবরই কটাক্ষ করে এসেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে। প্রধানমন্ত্রী কোনও বিদেশ সফর থেকে দেশে ফিরলেই ‘ভারত সফরে এলেন মোদি’- এ রকম ট্যাগলাইন, মিম ঘোরাফেরা করে সোশ্যাল মিডিয়ায়। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, ২০১৬ সালের নভেম্বরে নোট বাতিলের ঘোষণার পরই জাপান সফরে চলে যান মোদি। তখন এ নিয়ে তীব্র ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ করা হয়েছিল প্রধানমন্ত্রীকে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, লোকসভা ভোটে বিরোধীরা বড় ইস্যু করতে চলেছে মোদির বিদেশ সফরের এই খরচকে। তবে বিজেপি শিবিরের দাবি, ভারত আজ মহাশক্তি হিসাবে বিশ্বের সব দেশের সমীহ আদায় করছে তার পিছনে রয়েছে মোদির বিদেশ সফরগুলি।
The post চার বছরে মোদির বিদেশ সফরে খরচ ২ হাজার কোটি, তথ্য বিদেশমন্ত্রকের appeared first on Sangbad Pratidin.