সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেশে হিন্দু জনতার সংখ্যা কমেছে ৮ শতাংশ! সেই সময়ে বেড়েছে সংখ্যালঘু জনসংখ্যা। নির্বাচন (Lok Sabha 2024) চলাকালীন এই রিপোর্ট প্রকাশ করল প্রধানমন্ত্রীর আর্থিক উপদেষ্টা পরিষদ। ১৯৫০ থেকে ২০১৫ পর্যন্ত দেশের জনসংখ্যার ভিত্তিতেই এই রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে।
কেবল ভারত নয়, এই সময়সীমায় গোটা বিশ্বের জনসংখ্যার তথ্য নিয়েই রিপোর্ট প্রকাশ করেছে প্রধানমন্ত্রী উপদেষ্টা পরিষদ। সেখানে দেখা যাচ্ছে, ৬৫ বছরে দেশে হিন্দুদের সংখ্যা বেশ অনেকটাই কমে গিয়েছে। ১৯৫০ সালে ভারতের নাগরিক ছিলেন ৮৪ শতাংশ হিন্দু। কিন্তু পরের ৬৫ বছরে ছবিটা বেশ পালটে গিয়েছে। ২০১৫ সালের পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে, ৮ শতাংশ কমেছে হিন্দু জনতার সংখ্যা। ২০১৫ সালে ৭৮ শতাংশ হিন্দু বসবাস করছেন ভারতে।
[আরও পড়ুন: পরকীয়ার জের, প্রৌঢ়া প্রেমিকাকে ছুরি নিয়ে হামলা যুবকের! মাকে বাঁচাতে গিয়ে ‘খুন’ মেয়ে]
এই ৬৫ বছরে ভারতে সমস্ত ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের বৃদ্ধি হয়েছে বলে জানানো হয়েছে ওই রিপোর্টে। ১৯৫০ সালে সেই সময়ে ভারতে (India) ছিলেন ৯.৮৪ শতাংশ মুসলিম। মুসলিমদের সংখ্যা প্রায় ৪০ শতাংশ বেড়েছে ৬৫ বছরে। ২০১৫ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী ভারতের জনসংখ্যার ১৪.১৫ শতাংশ মুসলিম। শিখ জনসংখ্যা ১.২৪ শতাংশ থেকে বেড়ে হয়েছে ১.৮৫। বৃদ্ধির হার ৬.৫৮ শতাংশ। এছাড়া খ্রিস্টান জনসংখ্যা ৫.৩৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০১৫ সালের পরিসংখ্যান বলছে, ভারতে খ্রিস্টান জনসংখ্যার হার ২.২৪ থেকে ২.৩৬ শতাংশ হয়েছে। এই পরিসংখ্যান তুলে ধরে রিপোর্টে বলা হয়েছে, ভারতে সংখ্যালঘুরা সুরক্ষিত রয়েছে। শুধু তাই নয়, দেশে যথেষ্ট উন্নতি করেছেন তাঁরা। বিশ্বের নানাপ্রান্তের দেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের সংখ্যা আরও কমেছে। কিন্তু ভারতে বেড়েছে সংখ্যালঘুদের সংখ্যা।
তবে ভারত ছাড়াও এই সময়ের মধ্যে নেপালে কমেছে হিন্দু জনতার সংখ্যা। ৩.৬ শতাংশ কমেছে সেদেশের হিন্দু জনসংখ্যা। মায়ানমারের থেরাভাডা বুদ্ধিস্টদের সংখ্যা কমেছে ১০ শতাংশ। তবে পাকিস্তান, বাংলাদেশ, আফগানিস্তানের মতো মুসলিমপ্রধান দেশগুলোতে বেড়েছে সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিমদের সংখ্যা। বাংলাদেশে ১৮.৫ শতাংশ বেড়েছে মুসলিম জনসংখ্যা। ভুটান ও শ্রীলঙ্কায় বুদ্ধিস্টদের সংখ্যা যথাক্রমে ১৭.৬ ও ৫.২৫ শতাংশ বেড়েছে।