সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সেই পিএনবি। আবার আর্থিক কেলেঙ্কারি। নীরব মোদিদের ঋণখেলাপির তদন্তে আরও এক দুর্নীতির পর্দা ফাঁস। সিবিআই জানতে পেরেছে পিএনবির মুম্বই শাখা থেকে ৯ কোটি টাকা ঋণ মেটায়নি একটি সংস্থা।
[সরকারি চাকরি পেতে সেনায় যোগদান বাধ্যতামূলক, আসছে নয়া বিল]
পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাংকের যে শাখা থেকে এই দুর্নীতির শিকড় গজিয়েছে ঘটনাচক্রে তার নাম জড়িয়েছিল নীরব মোদির সময়ে। ব্রাডি হাউস শাখাতেই ফের ধরা পড়ল জালিয়াতির ফাঁস। মুম্বইয়ে পিএনবির এই শাখা থেকে ঋণ নিয়েও তা শোধ করার রাস্তায় হাঁটেনি চন্দ্রি পেপার্স অ্যান্ড অ্যালায়েড প্রোডাক্টস নামে এক সংস্থা। ঘটনার পর থেকে সংস্থার কর্ণধারের খোঁজ নেই। সিবিআই এই ঘটনায় ব্যাঙ্কের দুই আধিকারিকের নামে এফআইআর করেছে। তারা হল ওই শাখার অবসরপ্রাপ্ত কর্মী গোকুলনাথ শেট্টি এবং আধিকারিক মনোজ খারাটের। এই দুই অফিসার নীরব মোদি-মেহুল চোখসির ঘটনায় অভিযুক্ত। ইতিমধ্যে যাদের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা জানান বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের অন্যতম শরিক এই দুজন। গোকুলনাথ এবং মনোজ ওই সংস্থার নামে ৯.০৯ কোটি টাকা মূল্যের লেটার অফ আন্ডারস্ট্যান্ডিং ইস্যু করেছিল। সেটা এসবিআই-এর বেলজিয়ামের আন্ট্রপ শাখাকে জানানো হয়। এই অর্থের বকেয়া মেটানোর সময়সীমা ছিল ২০২০ সালের ২০ জানুয়ারি। অভিযোগ কোনওরকম ক্রেডিট লিমিট ছাড়াই লেটার অফ আন্ডারস্ট্যান্ডিং ইস্যু হয়। নীরব মোদি-মেহুল চোখসি কীভাবে পিএনবির ঋণ খেলাপ করলেন সেই তদন্তেই এই ঘটনা নজরে এসেছে।
[ফের ভাঙা হল শ্যামাপ্রসাদের মূর্তি, তুলকালাম দেশ জুড়ে]
সাড়ে এগারো হাজার কোটির কেলেঙ্কারিতে দেশের বৃহত্তম রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক পিএনবি বেশ বেকায়দায়। তারা ‘শুদ্ধিকরণের’ চেষ্টা চালালেও সর্ষের মধ্যে ভূত কী ব্যাপক পরিমানে রয়েছে তা এই ঘটনায় আরও একবার স্পষ্ট হয়ে গেল। মামা-ভাগ্নের টিকি ছুঁতে পারেনি গোয়েন্দারা। অজ্ঞাতবাস অবস্থায় নীরব-মেহুল বুঝিয়ে দিয়েছেন তারা টাকা ফেরত দেওয়ার লোক নন। রীতিমতো হুমকির সুরে পিএনবিকে তারা চিঠিতে লিখেছে তদন্তের নামে যেভাবে তাদের সম্পত্তি ক্রোক করা হচ্ছে তাতে দেশে ফেরা বা ঋণ মেটানোর কথা ভুলে যাওয়াই ভাল। পিএনবির ব্রাডি হাউস শাখায় নতুন কেলেঙ্কারির আঁচ পেয়ে তদন্তকারীদের ধারণা কেঁচো খুড়তে আরও অনেক কেউটে বেরোবে।
The post ফের শিরোনামে পিএনবির ব্রাডি হাউস শাখা, ৯ কোটির নয়া কেলেঙ্কারির হদিশ appeared first on Sangbad Pratidin.