সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আইনি বাধায় সোজা পথে না মিললেও বিহারে চোরাপথে রমরমিয়ে চলছে মদের কারবার। যার পরিণতিও হচ্ছে ভয়াবহ। ফের বিহারের দুই জেলায় বিষমদ খেয়ে মৃত্যু হল ৬ জনের। পাশাপাশি এই ঘটনায় গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও দুই জন। ঘটনার খবর পেয়ে তদন্তে নেমেছে স্থানীয় পুলিশ ও প্রশাসন।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বিষমদ খেয়ে প্রথম মৃত্যুর ঘটনা সামনে আসে রাজ্যের সরন জেলার ইব্রাহিমপুর গ্রামে। মদ খাওয়ার পর অসুস্থবোধ করেন গ্রামের তিন ব্যক্তি। এদের মধ্যে ঘটনাস্থলেই একজনের মৃত্যু হয়। বাকি দুজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পাশাপাশি দ্বিতীয় ঘটনার খবর আসে বিহারের সিওয়ান জেলা থেকে। এখানে মদ খাওয়ার পর অসুস্থ হয়ে মৃত্যু হয় ৫ জনের। আরও তিন জন আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। মৃত ৬ জনের বয়স ৩০ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে বলে জানা যাচ্ছে।
একের পর এক মৃত্যু খবর প্রকাশ্যে আসতেই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। ঘটনার তদন্তে গ্রামে পৌঁছন মহারাজগঞ্জের এসডিএম অনিল কুমার। তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে সবকোটি মৃত্যুই মদ খাওয়ার জেরে হয়েছে। দুটি মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ গোটা ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে। যে বা যারা এই বিষমদের চোরাকারবার করছে তাঁদের কাউকে রেহাত করা হবে না। অন্যদিকে গ্রামবাসীদের দাবি, বিষমদ খেয়ে এক ডজনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে বিহারে মদ বিক্রি নিষিদ্ধ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। রাজ্যকে নেশামুক্ত করে তোলাই নাকি ছিল উদ্দেশ্য। যদিও অভিযোগ, সরকারি নিষেধাজ্ঞার ফলে মদের একটি বিরাট ‘কালোবাজার’ তৈরি হয়েছে রাজ্যটিতে। স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্ত সতর্কতা জলাঞ্জলি দিয়ে বিপুল মাত্রায় তৈরি হচ্ছে চোলাই মদ, স্থানীয় ভাষায় যাকে বলা হয় ‘দেশি’। আর এই মদের জেরেই প্রতি বছর বিহারে অসংখ্য মানুষের মৃত্যু হয়। এহেন চোলাই মদ বন্ধ করতে বিহার সরকার নানা পদক্ষেপের বার্তা দিলেও বাস্তবে তা যে খুব বিশেষ সাফল্য পায়নি, একের পর এক মৃত্যুর ঘটনা সেটাই প্রমাণ করে।