সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ডহারবার: অতিমারী আবহে (Corona Pandemic) আরও একবার মানবিকতার নজির গড়ল পুলিশ। করোনা আক্রান্ত বলে পরিবারের সদস্যরা মধ্যবয়সী এক ব্যক্তিকে ফেলে রেখে যায় রাস্তায়। দীর্ঘক্ষণ জাতীয় সড়কের ধারে পড়েছিলেন ওই ব্যক্তি। করোনা আতঙ্কে এলাকার মানুষও তাঁর ধারেকাছে যাননি। শেষমেশ পুলিশ আধিকারিকরাই তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভরতি করেন। আর দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার (South 24 Parganas) ডায়মন্ডহারবার থানার পুলিশের এই কাজের প্রশংসা করেছেন সমাজের সব স্তরের মানুষ।
জানা গিয়েছে, বেশ কয়েকঘণ্টা ধরে ডায়মন্ডহারবারের মোহনপুর মাদ্রাসার মোড়ে ১১৭ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে পড়েছিলেন মধ্যবয়সী এক ব্যক্তি। পথচলতি অনেকেই তাঁকে পড়ে থাকতে দেখেও পাশ কাটিয়ে চলে যান। কেউ কেউ দূরে দাঁড়িয়ে দেখলেও ওই ব্যক্তির কাছে এগোতে সাহস পাননি। কারণ সেই করোনা আতঙ্ক। কয়েক ঘন্টা পর স্থানীয় এক বাসিন্দা বিষয়টি পুলিশের নজরে আনেন। খবর পাওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই ডায়মন্ডহারবার থানার পুলিশ ওই ব্যক্তিকে রাস্তা থেকে উদ্ধার করে ডায়মন্ডহারবার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভরতি করে। ডায়মন্ডহারবার থানার আইসি সুজন রায় জানিয়েছেন, উদ্ধার হওয়া ওই ব্যক্তি ফলতা থানার সহরারহাটের বাসিন্দা নির্মল হাজরা। করোনা হয়েছে বলে ভয়ে বাড়ির লোকই তাঁকে রাস্তায় ফেলে পালায়। অসহায় অবস্থায় রাস্তায় পড়ে থাকার পর পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভরতি করে।
[আরও পড়ুন: অমানবিক! অভুক্ত পরিযায়ী শ্রমিককে দেওয়া হল পথকুকুরদের খাবার, শোরগোল ধূপগুড়িতে]
ডায়মন্ডহারবার মেডিকেল কলেজের ভাইস প্রিন্সিপ্যাল প্রফেসর ডা: রমাপ্রসাদ রায় এই প্রসঙ্গে জানান, ওই ব্যক্তির কাছে তাঁর করোনা পজিটিভ হওয়ার কোনও রিপোর্টই ছিল না। তাই পুলিশ ওই ব্যক্তিকে হাসপাতালে ভরতি করার পর তিনি কোভিড আক্রান্ত কিনা জানতে আরটি—পিসিআর পরীক্ষা করা হয়েছে। সেই রিপোর্ট এলে তবেই তিনি করোনায় আক্রান্ত কিনা তা জানা যাবে। অল্প শ্বাসকষ্ট ছাড়া আর কোনও উপসর্গও তাঁর নেই। তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল বলেও জানিয়েছেন ভাইস প্রিন্সিপ্যাল।