অরিজিৎ গুপ্ত, হাওড়া: ডোমজুড়ে ফের দুঃসাহসিক ডাকাতির ঘটনা ঘটল। প্রায় দেড় মাস আগেই ডোমজুড়ে একটি সোনার গয়নার দোকানে লুটপাটের ঘটনা ঘটে। তার রেশ কাটতে না কাটতে এবার জাতীয় সড়কের ধারে জালান কমপ্লেক্সে লুটপাট। ১০-১২ জন দুষ্কৃতী ওই সংস্থার গোডাউনে ঢুকে এর নিরাপত্তারক্ষীকে মারধর করে বেঁধে রেখে প্রায় ১৫ লক্ষ টাকার স্টিল তৈরির উপকরণ জিঙ্ক বার নিয়ে চম্পট দেয়। তবে অভিযোগ দায়ের হওয়ার ১২ ঘন্টার মধ্যে এই ঘটনার তদন্তে নামে পুলিশ। ডাকাতদলের ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পাশাপাশি একটি গাড়ি সমেত ডাকাতি হওয়া সমস্ত সামগ্রী উদ্ধার করেছেন তদন্তকারীরা।
পুলিশ জানিয়েছে, শুক্রবার রাত দেড়টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে। প্রায় ১২ ঘন্টা পর অর্থাৎ শনিবার দুপুর ২টো নাগাদ ওই সংস্থার তরফে ডোমজুড় থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযোগের তদন্তে নেমে শনিবার রাতেই, ২টো নাগাদ পুলিশ মালিপাঁচঘড়া থানা এলাকার বাসিন্দা ৪ জনকে গ্রেপ্তার করে। পাশাপাশি ওই মালিপাঁচঘড়ার একটি গোডাউন থেকে ভ্যান বোঝাই করা জিঙ্ক বার উদ্ধার করে পুলিশ। এমনকী ওই গোডাউনটি সিল করে দেয় পুলিশ।
[আরও পড়ুন: মোদিকে শাহরুখের সঙ্গে তুলনা রণবীর কাপুরের, কী মিল পেলেন প্রধানমন্ত্রী আর বাদশার মধ্যে?]
ঠিক কী হয়েছিল? পুলিশ জানিয়েছে, শুক্রবার রাতে ১০-১২ জন দুষ্কৃতী একটি ভ্যান ও একটি মটরসাইকেল নিয়ে গোডাউনে ঢোকে। গোডাউন পাহারা দেওয়া নিরাপত্তারক্ষীকে ধরে মারধর করে তাঁকে বেঁধে রাখে। তার পর গোডাউনে ঢুকে স্টিল তৈরির কাঁচামাল বা উপকরণ ৪ টন জিঙ্ক বার ভ্যানে তুলে নিয়ে চম্পট দেয়। এমনকী গোডাউনের সিসি ক্যামেরাও খুলে নিয়ে চলে যায় দুষ্কৃতীরা। তদন্তে নেমে পুলিশ হাইরোডের সিসি ক্যামেরা থেকে যে ভ্যানটিতে জিনিস নিয়ে পালায় দুষ্কৃতীরা সেই গাড়িটিকে প্রথমে চিহ্নিত করে। তার পর ওই গাড়ির মালিক অবিনাশ সিংকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই বাকি তিন দুষ্কৃতীর কথা জানতে পারেন তদন্তকারীরা। এর পরই একে একে সুব্রত সেন ওরফে ছোটকা ও ছোটকার বন্ধু বিশাল কুমার সাউকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, এরা দুজন সরাসরি ডাকাতির ঘটনায় যুক্ত। এছাড়াও বিকাশ জয়সওয়াল নামে অপর এক জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, বিকাশ ডাকাতির পর জিনিসগুলি তার কাছে নেয়। ‘‘এই প্রসঙ্গে হাওড়া সিটি পুলিশের ডিসি সাউথ বিশ্বজিৎ মাহাতো বললেন, ডাকাতির ঘটনার কিনারা করতে গিয়ে খুবই তৎপরতার সঙ্গে কাজ করেছে পুলিশ। অভিযোগ হওয়ার ১২ ঘন্টার মধ্যে ডাকাতদলের ৪ জনকে গ্রেপ্তার করে ডাকাতি হওয়া সমস্ত সামগ্রী উদ্ধার করা হয়েছে।’’ প্রসঙ্গত, এই ঘটনায় প্রত্যক্ষভাবে আরও ৬ জন যুক্ত আছে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। তাদের খোঁজে রবিবার রাত পর্যন্ত তল্লাশি চালায় পুলিশ।