সুমিত বিশ্বাস ও সুরজিৎ দেব: বিয়েবাড়িতে উচ্চস্বরে গানবাজনার প্রতিবাদ করে আক্রান্ত পুলিশ। বাধ্য হয়ে শূন্যে এক রাউন্ড গুলি চালান এক জুনিয়র কনস্টেবল। প্রতিবাদে পুরুলিয়ার চাষমোড়-তুলিন রাজ্য সড়ক অবরোধ স্থানীয়দের। জুনিয়র কনস্টেবলের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে সরব অবরোধকারীরা।
পুরুলিয়া শহরের শব্দদূষণ দিন দিন বেড়েই চলেছে। তা রোখার উদ্যোগ নিয়ে ভারতীয় বিজ্ঞান ও যুক্তিবাদী সমিতি। হস্তক্ষেপ চেয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠিও পাঠিয়েছেন ওই সমিতির সদস্যরা। আর তারপর থেকেই তৎপর পুলিশ। এই প্রেক্ষাপটে বুধবার ঝালদার তুলিনের রেললাইন এলাকার বাসিন্দা গৌর মাহাতোর মেয়ের বিয়ে ছিল। গৌর মাহাতোর অভিযোগ, পুলিশ আচমকাই বিয়েবাড়িতে হানা দেয়। সেই সময় গান বাজছিল। ডিজে বন্ধ করতে বলে। মারধর করতেও শুরু করে। পুলিশ এবং বিয়েবাড়িতে থাকা লোকজনদের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। তাতেই আক্রান্ত হন বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মী। পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে জুনিয়র কনস্টেবল শূন্যে গুলি চালায়।
[আরও পড়ুন: খুন নাকি দুর্ঘটনায় প্রাণহানি? ময়ূরেশ্বরের তৃণমূল নেতার মৃত্যুর কারণ ঘিরে ধোঁয়াশা]
এই ঘটনার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার সকালে চাষমোড় তুলিন রাজ্য সড়কে অবরোধ করেন স্থানীয়রা। জুনিয়র কনস্টেবলের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান অবরোধকারীরা। রাজ্য সড়ক অবরোধের কথা শোনামাত্রই ঘটনাস্থলে পৌঁছন এসডিপিও সুব্রত দেব। তাঁর হস্তক্ষেপেই অবরোধ উঠে যায়। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। তবে এলাকায় এখনও চাপা উত্তেজনা রয়েছে।
এদিকে, মহেশতলায় মদ খাওয়ার প্রতিবাদ করায় শিয়ালদহ বজবজ শাখার ১০ নম্বর রেলগেট লাগোয়া জালখুরায় ক্লাব ভাঙচুরের অভিযোগ। উইকেট, হকিস্টিক দিয়ে ক্লাব ঘর ভাঙচুর করা হয়। এমনকি রেললাইনে থাকা পাথরও ছোঁড়া হয়। বুধবার রাতের এই ঘটনা সামাল দিতে ঘটনাস্থলে যায় মহেশতলা থানার বিশাল পুলিশবাহিনী। উভয়পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার সকালেও এলাকা যথেষ্ট থমথমে। ক্লাবের সামনে বসেছে পুলিশ পিকেট।