কল্যাণ চন্দ, বহরমপুর: করোনার (Coronavirus) মতো অতিমারীকে তুচ্ছ প্রমাণিত করে ভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রথম সারিতে দাঁড়িয়ে লড়াই করছেন চিকিৎসক ও নার্সরা। আর তাঁদের বেদম মারধর করার অভিযোগ উঠল রোগীর আত্মীয়দের বিরুদ্ধে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তাল মুর্শিদাবাদের শক্তিপুর। ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসক ও নার্স নিগ্রহের ঘটনায় গ্রেপ্তার ৫ জন। তাদের শুক্রবারই আদালতে তোলা হবে।
প্রহৃত চিকিৎসক (Doctor) অনুপম মণ্ডল জানান, মুর্শিদা বেগম নামে এক মহিলা বৃহস্পতিবার সন্ধে সাড়ে সাতটা নাগাদ শক্তিপুর হাসপাতালে ভরতি হন। তাঁর চিকিৎসাও শুরু হয়। শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় ওই রোগীর উন্নত চিকিৎসার দরকার ছিল। ফলে প্রাথমিকভাবে তাঁকে ইঞ্জেকশন দিয়ে এবং ইসিজি করার পর মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। খবর দেওয়া হয় ওই রোগীর আত্মীয়দের। রাত্রি নটা নাগাদ ওই রোগীর আত্মীয়রা হাসপাতালে পৌঁছন। রোগী অন্যত্র রেফার করা হয়েছে শুনে উত্তেজিত হয়ে পড়েন। রোগীর আত্মীয়রা গালিগালাজ করতে শুরু করে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই চিকিৎসক এবং নার্সকে মারধর করা হয়। কর্তব্যরত চিকিৎসক অনুপম মণ্ডলের চশমা ভেঙে দেওয়া হয়। ওই চিকিৎসককে বাঁচাতে আসা নার্স রাধিকা দে’কেও ব্যাপক মারধর করা হয়। তাঁকে ওই হাসপাতালেই ভরতি করা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: মাধ্যমিকের পর এবার রাজ্যে Madrasa, হাই-মাদ্রাসাতেও ১০০% পাশ, উচ্ছ্বসিত পরীক্ষার্থীরা]
বৃহস্পতিবার রাতের এই ঘটনায় তীব্র উত্তেজনা ছড়ায় শক্তিপুর হাসপাতালে। আহত চিকিৎসক-নার্স (Nurse) অভিযুক্তদের শাস্তির দাবি তুলেছেন রোগীর পরিবারের লোকজন। পালটা রোগীর আত্মীয়দের গ্রেপ্তারির দাবিতে সরব অন্যান্য নার্স ও চিকিৎসকরা। শক্তিপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। পুলিশ সেই অভিযোগের ভিত্তিতে ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। এর আগেও একাধিকবার রাজ্যের একাধিক হাসপাতাল এবং নার্সিংহোমে চিকিৎসক ও নার্স নিগ্রহের অভিযোগ উঠেছে। চিকিৎসক-রোগীর মধ্যে সুসম্পর্ক গড়ে তোলার বিষয়ে জোর দিতে হবে বলেও জানিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে তারপরও ছবি যেন বদলাচ্ছে না। সেকথাই যেন আরও একবার মুর্শিদাবাদের শক্তিপুর ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ঘটনায় তা প্রমাণিত হল।