সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ড হারবার: সিসিটিভি ফুটেজের সাহায্যে ঠাকুমা ও নাতি খুনের কিনারা করল ডায়মন্ড হারবার জেলা পুলিশ। মূল অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। ধৃত ব্যক্তি জোড়া খুনের কথা স্বীকার করেছে বলেই খবর।
গত ১২ মে গৃহশিক্ষক মহেশতলার সরকার পলের ওই বাড়িতে পড়াতে আসেন। দরজা খোলাই ছিল। ভিতরে ঢুকে দেখেন ঘরেই পড়ে রয়েছে ঠাকুমা ও নাতির নিথর দেহ। এরপর প্রতিবেশীদের মাধ্যমে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। কে বা কারা এই কাজ করল তার তদন্ত শুরু করেন আধিকারিকরা। ওই এলাকার সিসিটিভ ফুটেজ সংগ্রহ করেন তদন্তকারীরা। তাতে সন্দেহভাজন এক ব্যক্তিকে ছাতা মাথায় ওই বাড়িতে ঢুকতে দেখা যায়। আবার কিছুক্ষণ পরে তিনি বেরিয়ে পড়েন।
[আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় ‘মোকা’ বিদায়ের পরই সুখবর, চলতি সপ্তাহেই স্বস্তির বৃষ্টিতে ভিজতে পারে বাংলা]
পরিবারের কেউই তাঁকে শনাক্ত করতে পারেনি। তাই ওই ব্যক্তি কখন, কীভাবে এবং কোন দিক দিয়ে ওই বাড়িতে আসে তা বোঝার জন্য রাস্তায় থাকা সিসিটিভি ফুটেজগুলি ভাল করে খতিয়ে দেখা হয়। তাতে জানা যায়, ওই ব্যক্তি মণ্ডল পরিবারের বাড়ি থেকে বেশ কিছুটা দূরে সাইকেল রাখে। তারপর হেঁটেই ওই বাড়িতে ঢোকে। চলে যাওয়ার সময় হাফপ্যান্ট পড়ে বেরোয়। আর তাতেই পুলিশের সন্দেহ বেড়ে যায়।
ওই ব্যক্তির ছবি বিভিন্ন জায়গায় পাঠিয়ে তার সম্পর্কে খোঁজখবর নেওয়া শুরু হয়। পুলিশ জানতে পারে তার নাম ইসব শেখ ওরফে ইউসুফ। পেশায় রাজমিস্ত্রি। বাড়ি মুর্শিদাবাদে হলেও কালীতলা থানা এলাকায় ভাড়া থাকে। তবে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় ঠাকুরপুকুর এলাকা থেকে। পুলিশের জেরায় ইউসুফ জানিয়েছে, বাড়ি তৈরির সময় সে এখানেই কাজ করেছিল। তার মনে হয়েছিল পরিবার বেশ বিত্তশালী। তাদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা এবং গয়না পাওয়া যাবে। আর সেই লোভেই জোড়া খুন বলেই স্বীকার করেছে অভিযুক্ত।