অর্ণব আইচ: যাদবপুরের বাপুজিনগরের দুর্ঘটনায় ঘাতক গাড়িচালক রাহুল বন্দ্যোপাধ্যায়কে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। রবিবার আদালতে তোলা হবে অভিযুক্তকে। মদ্যপ অবস্থায় পার্টি সেরে ফেরার পথেই দুর্ঘটনাটি ঘটে। জখম ৬জন এখনও বাঘাযতীন স্টেট জেনারেল হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন।
শনিবার ঘড়ির কাঁটায় তখন রাত ১০টা ১৫ মিনিট। ঠিক সেই সময় যাদবপুরের দিক থেকে আসা সাদা রঙের হোন্ডা সিটি গাড়িটি ট্র্যাফিক সিগন্যাল ভেঙে বাপুজিনগরে প্রথমে রাস্তার উপর একটি চায়ের দোকানে ধাক্কা মারে। সেখানে এক ব্যক্তি চা খাচ্ছিলেন। তাকে পিষে দিয়ে ঘাতক গাড়িটি পাশের এগরোলের দোকান-সহ আরও একটি দোকানে ধাক্কা মারে। তারপর একটি বাইকে গিয়েও ধাক্কা মারে গাড়িটি। ঘাতক গাড়ির সামনের অংশও ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
[আরও পড়ুন: ফেসবুকে কুণাল সরকারের নামে কুৎসা, সিপিএম সমর্থকদের নিন্দায় সরব চিকিৎসক মহল]
এদিন গাড়ির ধাক্কায় মোট ৬জন আহত হন। আহতদের বাঘাযতীন স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গিয়েছে। মৃত্যু হয় সমীর থমাস কর্মকার নামে এক ব্যক্তির। উনি যাদবপুরের বাসিন্দা। পুলিশ সূত্রে খবর, গাড়িতে চালক রাহুল বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়াও ছিল তার স্ত্রী, বন্ধু এবং এক তরুণীর। কর্মসূত্রে বেঙ্গালুরুতেই থাকে রাহুল। কয়েকদিন আগে কলকাতায় আসে। শনিবার রাতে পার্টি সেরে বাড়ি ফিরছিল রাহুল। মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালানোর ফলে বেসামাল হয়ে যায়। তাই দুর্ঘটনাটি ঘটে। রাহুলকে ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাকে রবিবারই তোলা হবে আদালতে।
এদিকে, রবিবার কাকভোরে ফের যাত্রীবোঝাই বাস রাস্তার ধারের একটি বাড়িতে ধাক্কা মারে। মুর্শিদাবাদের জলঙ্গির সাহেবরামপুর মোড়ের কাছে বহরমপুর করিমপুর রাজ্য সড়কের দুর্ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি। তবে ওই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়।