নন্দন দত্ত, সিউড়ি: বীরভূমকে করিডর করে মণিপুর-অসম থেকে গাঁজা পাচার চলছিল অন্য রাজ্যে।সাধারণতন্ত্র দিবসের সকালে তল্লাশি চালিয়ে প্রায় ৭৫ লক্ষ টাকার মাদক বাজেয়াপ্ত করল জেলা পুলিশ। ডিমাপুর থেকে এই গাঁজা একটি চারচাকা গাড়ির ভিতর গোপন চেম্বারে ভরতি করে পাচার করা হচ্ছিল। জেলা পুলিশ সুপার নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠি জানান, গাঁজা-সহ চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ধৃতরা হল চন্দনদীপ সিং, গুরদীপ সিং, আশিকুল ইসলাম এবং তাজিমুদ্দিন। তাদের মধ্যে চন্দনদীপ এবং গুরদীপ দু’জনই পাঞ্জাবের বাসিন্দা। আশিকুল ইসলাম থাকে অসমে। তাজিমুদ্দিন বীরভূমের বাসিন্দা । সাঁইথিয়া থানার চারতলা মোড়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। অসমের ডিমাপুর ও মণিপুর থেকেই উন্নতমানের গাঁজা পাচারের করিডর হিসাবে বীরভূমকে বেছে নিয়েছিল পাচারকারীরা। সাধারণতন্ত্র দিবসে জাতীয় সড়কে পুলিশের নজরদারি থাকায় তাদের হাতেনাতে পাকড়াও করা হয়।
[আরও পড়ুন: সারিন্দার সুর, টোটো ভাষার হরফ সৃষ্টি, ‘পদ্মশ্রী’ সম্মানে উজ্জ্বল উত্তরবঙ্গে দুই ব্যক্তিত্ব]
সাঁইথিয়ায় একটা চারচাকা গাড়িতে ৬১৫ কেজি গাঁজা পাচার করা হচ্ছিল। পুলিশ সুপার জানান, সাধারণতন্ত্র দিবস উপলক্ষ্যে সারা জেলাজুড়ে নাকা চেকিং চলছিল। সূত্রের খবর, দু’দিন ধরে ওই গাড়িটির উপর
নজরদারি চলছিল। তৈরি করা হয়েছিল তিনটি দল। যার মধ্যে সাঁইথিয়া থানার ওসি, সিউড়ির টাউন ওসি, এসওজি, সিউড়ি আইসিকে নিয়ে গঠন করা হয়। যাদের পুরো বিষয়টি নজরদারি করছিলেন ডিএসপি ডি অ্যান্ড টি অয়ন সাধু ও ডিএসপি ক্রাইম।
সাধারণতন্ত্র দিবসের সকালে পুলিশ যখন কুচকাওয়াজ এবং বাকিরা সরস্বতী পুজোয় ব্যস্ত সে সময়টিকে তারা মাদক পাচারের জন্য বেছে নিয়েছিল। জাতীয় সড়কে না গিয়ে জেলার ভিতর দিয়ে দুর্গাপুর হয়ে ঝাড়খণ্ডে বা বিহারে পাচারের লক্ষ্য ছিল। জেলার ভিতরের রাস্তা চিনে যাওয়ার জন্য বীরভূমের তাজিমুদ্দিনকে দলে নেওয়া হয়েছিল। আল্ট্রা গাড়িটির ভিতরে একটি চেম্বার তৈরি করা হয়। তার ভিতরে গাঁজার বস্তাগুলিকে ভরে তার উপরে কিছু কাগজের বাক্স রেখে দেওয়া হয়। স্বাভাবিক গাড়ির মতো তারা জেলার ভিতর দিয়ে পার হয়ে যাচ্ছিল। পুলিশ সুপার দাবি করেন মণিপুর, অসমের গাঁজা থেকে উন্নতমানের মাদক তৈরি হয়। তাই সেখানকার প্রতি কেজি গাঁজার মূল্য কমপক্ষে ১২ হাজার টাকা। ফলে এদিন এই বিপুল পরিমাণ গাঁজা উদ্ধার করে বড়সড় সাফল্য পেল বীরভূম জেলা পুলিশ।