দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: হাতিশালায় সংঘর্ষের ঘটনার পর প্রায় সপ্তাহখানেক কেটে গিয়েছে। তা সত্ত্বেও উত্তেজনা রয়েছে একইরকম। আইএসএফ ও তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের সংঘর্ষের ঘটনায় এখনও জারি ধরপাকড়। আরও তিন আইএসএফ কর্মীকে গ্রেপ্তার করল কলকাতা পুলিশের লেদার কমপ্লেক্স থানার পুলিশ। হাতিশালা এলাকায় গণ্ডগোলের জেরে ধর্মতলায় অশান্তির সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে তাদের পাকড়াও করা হয়েছে। তার ফলে ধৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৫১।
গত ২১ জানুয়ারি ছিল আইএসএফের প্রতিষ্ঠা দিবস। তার আগের রাত থেকে ভাঙড়ের হাতিশালা এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। আইএসএফ এবং তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ বাঁধে। এলাকায় চলে বোমাবাজি। তৃণমূলের বেশ কয়েকটি দলীয় কার্যালয়ও ভাঙচুর করা হয় বলেও অভিযোগ। সংঘর্ষের প্রতিবাদে কলকাতায় ধর্মতলা মোড়ে অবরোধ করে আইএসএফ। গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় যান চলাচল কার্যত বন্ধ হয়ে যায়। অবরোধ হঠাতে এগিয়ে যায় পুলিশ। আইএসএফ কর্মী-সমর্থকরা পুলিশের উপর হামলা চালায় বলেও অভিযোগ। এরপরই পুলিশ আইএসফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকিকে গ্রেপ্তার করে কলকাতা পুলিশ। আইএসএফ বিধায়ককে ১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত।
[আরও পড়ুন: রাজ্যবাসীর জন্য সুখবর, এবার হাওড়া থেকে পুরী পর্যন্ত ছুটবে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস!]
এদিকে, নওশাদের মুক্তির দাবিতে গত বুধবার কলকাতায় নাগরিক মিছিলের ডাক দেয় আইএসএফ। পুলিশের অনুমতি না থাকলেও জোর করে শিয়ালদহ থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত মিছিল করেন আইএসএফ কর্মী-সমর্থকরা। যদিও মিছিল আটকায়নি পুলিশ। পালটা বৃহস্পতিবার ভাঙড়ে শান্তি মিছিলের ডাক দেয় তৃণমূল। দলীয় শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশে মিছিলের রাস্তা থেকে সরে আসার সিদ্ধান্ত নেন প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক আরাবুল হক।
প্রায় সপ্তাহখানেক কেটে গেলেও হাতিশালায় এখনও জারি ধরপাকড়। আরও তিন আইএসএফ কর্মীর গ্রেপ্তারির নেপথ্যে ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাচ্ছেন দলীয় কর্মী-সমর্থকরা। যদিও আইএসএফ কর্মী-সমর্থকদের অভিযোগ খারিজ করেছে তৃণমূল।