সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভাঙড়ের গণপিটুনিতে প্রাণহানির ঘটনায় জারি ধরপাকড়। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ২জনকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। ধৃতরা হল সাহারুল মোল্লা এবং সৈকত মণ্ডল। যে দোকানের সামনে মারধরের ঘটনাটি ঘটে, সেই দোকানের মালিক সাহারুল। সৈকত মণ্ডল ওই এলাকারই আরও এক ব্যবসায়ী। মৃতের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে খুনের মামলা রুজু করা হয়। তার ভিত্তিতে ওই দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ভাঙড় বাজার এলাকায় গত কয়েক দিন ধরে চুরির ঘটনা বেড়ে গিয়েছিল। বাজারে নৈশপ্রহরী চলে গেলেই চুরি হত। যা নিয়ে স্থানীয়রা ক্ষুব্ধ ছিলেন। তারপর থেকে তক্কে তক্কে ছিলেন স্থানীয়রা। রবিবার ভোরে আজগর মল্লিক নামে এক ব্যক্তিকে ধরা হয়। তিনি ভাঙড় থানার ফুলবাড়ি এলাকার বাসিন্দা। চোর সন্দেহে তাঁকে প্রথমে বেঁধে রাখা হয় বলে অভিযোগ। হাতের কাছে পেয়ে সন্দেহের বশে অনেকেই তাঁকে মারধর করেন। মারধরের পর দীর্ঘক্ষণ ওই ব্যক্তি সেখানে পড়ে থাকলেও পুলিশ আসেনি বলে অভিযোগ। ব্যক্তিকে নিস্তেজ হয়ে পড়ে থাকতে দেখে প্রথমে সকলেই ভেবেছিলেন, তিনি নেশাগ্রস্ত। পরে তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে জানান।
[আরও পড়ুন: শেয়ারে লগ্নির ফাঁদে নিঃস্ব নৌসেনা কর্তা! ‘প্রতারণা’র দায়ে গ্রেপ্তার বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী]
এদিকে, খবর পেয়ে পুলিশ দেহ উদ্ধার করতে যায়। প্রথমে পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানোর চেষ্টা করেছিল। কিন্তু অভিযোগ, মৃতের পরিবার পুলিশকে দেহ নিতে দেয়নি। তাঁদের তরফে অভিযোগও দায়ের করা হয়নি। যদিও পরে বিশাল পুলিশবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করে। পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমে ভাঙড় বাজারের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে। স্থানীয় দোকানদার-সহ প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান রেকর্ড করে। ভিডিও ফুটেজের সূত্র ধরে রাতে কয়েকজনকে আটক করা হয়। তাদের মধ্যে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের সোমবার আদালতে তোলা হবে।