তারক চক্রবর্তী, শিলিগুড়ি: সরকারি জমি বিক্রির অভিযোগে গ্রেপ্তার আরও দুই। ধৃতরা হল বিমল রায় এবং মহম্মদ কালাম। বৃহস্পতিবার সকালে শিলিগুড়ি থানায় নিয়ে আসা হয় তাদের। এর আগে বুধবার ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ির তৃণমূল নেতা দেবাশিস প্রামাণিককে গ্রেপ্তার করা হয়। দেবাশিস মেয়র গৌতম দেবের 'ঘনিষ্ঠ' বলেই জানা গিয়েছে। বিমল এবং কালাম আবার দেবাশিস প্রামাণিকের 'ঘনিষ্ঠ' বলেই খবর।
বৃহস্পতিবার ধৃত দেবাশিস, বিমল এবং মহম্মদ কালামকে জলপাইগুড়ি আদালতে তোলা হয়। ধৃত বিমল রায়ের দাবি, পুলিশ ভোরবেলা কিছু না বলেই থানায় তুলে নিয়ে আসে। তৃণমূল নেতা দেবাশিস প্রামাণিকের সঙ্গে তাঁর কোনও সম্পর্ক নেই বলেই সওয়াল বিমলের।
[আরও পড়ুন: দুর্গাপুজোয় কোথায়, কী থিম? এখন থেকেই খোঁজ নেওয়ার নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর]
উল্লেখ্য, সোমবারের বৈঠকে সরকারি জমি জবরদখল নিয়ে কড়া বার্তা দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৈরি করে দেন কমিটি। দখলদারি রুখতে মঙ্গলবার নবান্নের তরফে প্রত্যেক জেলায় পাঠানো হয় নির্দেশিকা। মুখ্যমন্ত্রীর কড়া বার্তার পরই তৎপর প্রশাসন। সরকারি জমি বেচাকেনার সঙ্গে জড়িত থাকার সন্দেহে গ্রেপ্তার হন ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি এলাকার তৃণমূলের ব্লক সভাপতি তথা জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের প্রাক্তন কর্মাধ্যক্ষ দেবাশিস প্রামাণিক।
বুধবার ফুলবাড়ির ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় দেবাশিসবাবুর বাড়িতে যায় পুলিশের দুটি দল। তাঁদের মধ্যে একদল সাদা পোশাকের। এছাড়া নিউ জলপাইগুড়ি থানার পুলিশও তাঁর বাড়ি গিয়েছিল। দেবাশিসবাবুকে জানানো হয়, শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনার সি সুধাকর তাঁকে তলব করেছেন। পুলিশের এই বার্তা পেয়ে এক মুহূর্তও বিলম্ব করেননি তিনি। পুলিশের গাড়িতে চেপেই তিনি যান। রাতে শিলিগুড়ি থানায় তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের পরই আরও দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই ঘটনার সঙ্গে আরও অনেকেই জড়িত রয়েছে বলেই মনে করছেন তদন্তকারীরা।