গোবিন্দ রায়, বসিরহাট: পর্ন কেলেঙ্কারিতে শহরজুড়ে যখন তোলপাড়, তখনই সিনেমাতে সুযোগ করিয়ে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে দুই নাবালিকাকে মুম্বইয়ে পাচারের চেষ্টার অভিযোগ উঠল বসিরহাটে। অবশেষে ছত্রিশগড়ের বিলাসপুর থেকে বাদুড়িয়া থানার পুলিশ আর রেল পুলিশের যৌথ চেষ্টায় দুজনকে উদ্ধার করা হয়। আলামিন দলদার (১৭) নামে নাবালক অভিযুক্ত পাচারকারীকে পাঠানো হয়েছে হোমে। বৃহস্পতিবার তাকে জুভেনাইল জাস্টিস আদালতে তোলা হবে।
জানা গিয়েছে, উত্তর ২৪ পরগনার সীমান্তবর্তী বাদুড়িয়া থানা এলাকার আটঘরা ও আটুরিয়া বাসিন্দা দুই কৃষক পরিবারের মেয়েই ছোট থেকে সিনেমায় অভিনয় করার স্বপ্ন দেখে। সেই স্বপ্নকেই বাস্তবে রূপ দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিল অভিযুক্ত আলামিন। প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল মুম্বইতে নিয়ে গিয়ে সিনেমার সুযোগ করিয়ে দেবে। কিন্তু ১৭ বছর বয়সের এই নাবালক যে পাচারকারী তা ঘুণাক্ষরেও বুঝতে পারেনি দুই নাবালিকা। তাই পরিবারের লোকেদের নজর এড়িয়ে স্বপ্নপূরণের লক্ষ্যে আলামিনের হাত ধরেই পাড়ি দেয় মুম্বইয়ের উদ্দেশ্যে। পাচারকারীর উদ্দেশ্য ছিল, এই দুই নাবালিকাকে নিয়ে কোনওভাবে মুম্বাইতে পা রাখা। তাহলেই তার কাজ শেষ। অন্য একটি দল এসে দুই নাবালিকাকে নিয়ে যেত। কিন্তু সেই উদ্দেশ্য আর এ যাত্রায় সফল হল না। অবশেষে পুলিশের হাতে ধরা পড়ে গেল সে।
[আরও পড়ুন: মাথার দাম ১ লাখ, একবালপুরের ভাড়াবাড়ি থেকে গ্রেপ্তার আন্তঃরাজ্য মাদক পাচার চক্রের পাণ্ডা]
পুলিশ জানিয়েছে, ২৮ জুলাই দুই নাবালিকার বাবা অভিযোগ জানান। ততক্ষনে অবশ্য হাওড়া থেকে মুম্বইয়ের উদ্দেশ্যে ট্রেন রওনা দিয়েছে। সঙ্গে সঙ্গেই তৎপর হয় পুলিশ। খবর দেওয়া হয় রেল পুলিশকে। রাজধানী এক্সপ্রেস সোজা বিলাসপুর গিয়ে থামবে বলে জানা ছিল। তার পরই বাদুড়িয়া থানার ওসি তাঁর পরিচিত রেল অফিসারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এবং মেয়ে দুটোকে উদ্ধারের যাবতীয় ব্যবস্থা করা হয়। ওসি অনিল সাউ জানান, “ওদেরকে নিয়ে কোনও ভাবে একবার মুম্বইতে পৌঁছলে পুলিশের পক্ষে ওদের খুঁজে বের করা অনেক কঠিন হয়ে যেত। তার আগেই তাদের উদ্ধার করে বাবা মায়ের হাতে তুলে দিতে পেরে আমরা খুশি।”