গোবিন্দ রায়: রাঙ্গামাটি শ্মশান দুর্নীতি মামলায় কলকাতায় হাই কোর্টে (Calcutta High Court) অস্বস্তিতে শুভেন্দু অধিকারীর ভাই সৌমেন্দু অধিকারী। তাঁর বিরুদ্ধে করা এফআইআর খারিজের আবেদনে সাড়া দিল না হাই কোর্ট। ফলে তদন্ত চালিয়ে যেতে পারবে পুলিশ।
হাই কোর্টের বিচারপতি অজয় কুমার মুখোপাধ্যায় নির্দেশ দেন, যতক্ষণ পর্যন্ত তদন্তকারী আধিকারিকদের সঙ্গে সহযোগিতা করবেন সৌমেন্দু ততক্ষণ পর্যন্ত তাঁর বিরুদ্ধে কড়া কোনও পদক্ষেপ করা যাবে না। তদন্তের যে পর্যায়ে তদন্তকারী সংস্থার মনে হবে সৌমেন্দু অধিকারী সহযোগিতা করছেন না, তৎক্ষণাৎ তাঁকে লিখিতভাবে শোকজ করতে হবে। এর দশ দিনের মধ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে পারবেন সৌমেন্দু। তবে সৌমেন্দু অধিকারীর জিজ্ঞাসাবাদ এবং সাক্ষ্যগ্রহণ পর্বের ভিডিও রেকর্ডিং করতে হবে তদন্তকারীদের, নির্দেশ হাই কোর্টের।
[আরও পড়ুন: প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি: সিবিআইয়ের কাজে চূড়ান্ত বিরক্ত, SIT আধিকারিককে সরিয়ে দিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়]
প্রসঙ্গত, কাঁথি পুরসভার শ্মশানের সংস্কারের টেন্ডার নিয়ে দেড় কোটির টাকার দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে কাঁথি পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান সৌমেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে। সেসময় ২০১৯ – ২০২০ সালে কাঁথি পুরসভার ওই টেন্ডার পান রামচন্দ্র পান্ডা। রামচন্দ্র, শুভেন্দু এবং অধিকারী পরিবারের ঘনিষ্ঠ বলে জানা যায়। ভুয়ো শংসাপত্রের মালিক রামচন্দ্রকে বরাত দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
এমনকী, শ্মশানে স্টল তৈরিতেও ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ। আরও অভিযোগ, টেন্ডার পেয়েও তিনি কাজ শেষ করেননি তিনি। তা নিয়ে রামচন্দ্রের বিরুদ্ধে আগেই দু’টি এফআইআর দায়ের হয়। এর পর, তৎকালীন চেয়ারম্যান সৌমেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধেও এফআইআর রুজু করে পুলিশ। সেই এফআইআরকে চ্যালেঞ্জ করে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন সৌমেন্দু। সেই মামলাতেই এই রায় দিল আদালত।
কাঁথি কলেজ লাগোয়া রাঙামাটি শ্মশানের জায়গা দখল করে স্টল তৈরি থেকে বণ্টনের ক্ষেত্রে দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ। বর্তমান এনিয়ে কাঁথি পুরসভার চেয়ারম্যান পুরপ্রধান সুবল কুমার মান্না গত ২৯ জুন কাঁথি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এই মামলাতে আগেই রক্ষাকবচ পেয়েছেন সৌমেন্দু।