নিরুফা খাতুন: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় সেনা পোশাকে ঢোকা মানবাধিকার সংগঠনের প্রধান কাজি সাদেক হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেপ্তার করে পুলিশ। শনিবার গার্ডেনরিচ থেকে তাঁকে আটক করে যাদবপুর থানায় নিয়ে আসে। রাত পর্যন্ত জেরা চলে। সেনা পোশাকে একদল ছেলেমেয়ে ক্যাম্পাসে কী উদ্দেশ্যে ঢুকেছিল? মানবাধিকার সংগঠন এভাবে সেনাবাহিনীর পোশাক পরে ঘুরছে কেন? তাঁদের কে বা কারা ক্যাম্পাসে যেতে বলেছিলেন? সূত্রের খবর, সদুত্তর দিতে না পারায় তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। রবিবার আলিপুর আদালত তাঁকে ৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেয়।
গত বুধবার গার্ডেনরিচের একটি মানবাধিকার সংগঠনের পক্ষ থেকে সেনার পোশাক পরে একদল যুবক যাদবপুরে ক্যাম্পাসে ঢুকে পড়েছিল। এভাবে সেনার পোশাক পরে ঘুরে বেড়ানোয় পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করেছে। ওই মামলায় ওই সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক কাজি সাদেক হোসেনকে নোটিস দিয়ে থানায় ডেকে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু তিনি থানায় হাজিরা দেননি। পুলিশ গার্ডেনরিচ থেকে তাঁকে আটক করে যাদবপুর থানায় নিয়ে আসে। এই ঘটনায় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন অস্থায়ী উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউকে শুক্রবার নোটিস পাঠায় কলকাতা পুলিশ। সেনাবাহিনীর পোশাকে কাদের দেখা গিয়েছিল ক্যাম্পাসে? সেই সিসিটিভি ফুটেজ চেয়ে নোটিস পাঠায় পুলিশ।
[আরও পড়ুন: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপেন এয়ার থিয়েটারে মদের বোতলের স্তূপ, বসছে ২৬টি সিসি ক্যামেরা]
কিন্তু উপাচার্য নোটিসের কোনও উত্তর শনিবার বিকেল পর্যন্ত দেননি বলে লালবাজার সূত্রে খবর। তবে, উপাচার্য বলেন, “শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কীভাবে জানবে কে আসছে, কী পোশাকে, তারা নিষিদ্ধ কিনা? পুলিশের কাছে তথ্য থাকলে ওরা আটকাল না কেন? ক্যাম্পাসে ওরা ঢুকল কী করে?” এই মামলায় ডিন অফ স্টুডেন্টসকেও থানায় ডাকা হয়েছে। এদিন তাঁর থানায় আসার কথা ছিল। কিন্তু তিনি আসেননি বলে জানা গিয়েছে। সেনার পোশাকে ক্যাম্পাসে ঢোকার ঘটনায় রেজিস্ট্রার অবশ্য যাদবপুর থানাকে রিপোর্ট পাঠিয়েছেন বলে বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর। এই প্রসঙ্গে এদিন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, “সেনার পোশাকে কারা গেল, তা তদন্তের বিষয়, আইনত ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।”