সুব্রত বিশ্বাস: হরিদেবপুর (Haridevpur) কাণ্ডে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেল পুলিশ। ভারী, ভোঁতা কিছু দিয়ে মাথার পিছনে আঘাতেই যে খুন হন অয়ন মণ্ডল তা উল্লেখ রয়েছে রিপোর্টে। এছাড়াও রিপোর্টে উল্লেখ আছে, ময়নাতদন্তের ২৪ ঘণ্টা আগেই মৃত্যু হয় অয়নের।
দশমীর রাতে শেষবার বাড়ি থেকে বেরন অয়ন মণ্ডল। বাড়িতে জানিয়ে যান প্রেমিকার বাড়িতে যাচ্ছেন তিনি। প্রেমিকার বাড়ির বাইরে পাহারায় থাকেন এক বন্ধু। তাঁকেই শেষবার রাত তিনটে নাগাদ ফোন করেন অয়ন। প্রেমিকার মায়ের বিরুদ্ধে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ জানান। এমনকী তার বিরুদ্ধে বুকে ঘুসি মারার অভিযোগও করেন। তারপর অবশ্য আর অয়নের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি কেউ। দু’দিন পর দ্বাদশীতে মগরাহাট পুলিশ ক্যাম্পের পাশে নিখোঁজ অয়নের দেহ উদ্ধার হয়।
[আরও পড়ুন: গরু পাচার মামলায় অনুব্রতর বিরুদ্ধে সিবিআই চার্জশিটে সাক্ষী শতাব্দী রায়! তুঙ্গে জল্পনা]
প্রথম থেকেই মনে করা হচ্ছিল ভারী কোনও বস্তু দিয়ে অয়নের মাথার পিছনে আঘাত করা হয়। আর তাতেই মৃত্যু হয় অয়নের। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পুলিশের হাতে আসার পর সেই অনুমানেই সিলমোহর পড়ল। রিপোর্টে উল্লেখ রয়েছে অয়নের মাথার পিছনে ভারী বস্তু দিয়ে আঘাত করে খুন করা হয়েছিল। মাথা ছাড়াও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ক্ষতচিহ্নও পাওয়া গিয়েছে। এছাড়া রিপোর্টে উল্লেখ রয়েছে, ময়নাতদন্তের ২৪ ঘণ্টা আগেই মৃত্যু হয় অয়নের। সুতরাং তদন্তকারীরা প্রায় নিশ্চিত যে দশমীর রাতেই প্রাণ গিয়েছিল হরিদেবপুরের তরতাজা যুবকের। সোমবার নিহতের প্রেমিকার বাড়ি থেকে ইট উদ্ধার করেছে পুলিশ। ওই ইটের গায়ে লেগেছিল রক্তের দাগও। ওই ইট দিয়েই অয়নকে আঘাত করা হয়েছিল বলেই অনুমান তদন্তকারীদের।
প্রথম থেকে পুলিশের বিরুদ্ধে তদন্তে গাফিলতির অভিযোগ তুলেছে অয়নের পরিবার, প্রতিবেশীরা। দ্বাদশীর রাতে এই অভিযোগে হরিদেবপুর থানার সামনে বিক্ষোভও দেখান তাঁরা। পুলিশের ভূমিকায় অসন্তুষ্ট অয়নের বাবাও। দাবি, পুলিশের উপর কোনও আস্থা নেই তাঁর। এমনকী জোর করে তাঁকে অনেক কিছু বলানোর অভিযোগও তোলেন তিনি। সিবিআই তদন্তের দাবিও জানিয়েছেন অয়নের বাবা।