অর্ণব আইচ: মাত্র একদিনেই হরিদেবপুরে (Haridevpur) অটো থেকে বোমা ও আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারের ঘটনার কিনারা করল পুলিশ। ব্যবসায়িক প্রতিদ্বন্দ্বিতার জেরে স্রেফ ফিনান্স কোম্পানির বদনাম করতেই অটোতে বোমা এবং অস্ত্রশস্ত্র মজুত করে রাখা হয়েছিল বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় গ্রেপ্তার চারজন। ধৃতদের রবিবারই তোলা হবে আদালতে।
ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পারে, স্বপন মিত্র এবং ভৈরব বসুর সঙ্গে বিশ্বজিৎ বিশ্বাসের ব্যবসায়িক প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছিল। কারণ, ভৈরব এবং বিশ্বজিৎ দু’জনেই অটোর ফিনান্সার। হরিদেবপুরের ৪১ পল্লি ক্লাবের কাছে বিশ্বজিতের অফিস। সেখানেই দাঁড়িয়ে থাকা পরিত্যক্ত অটো থেকে বোমা এবং আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করে পুলিশ। ব্যবসায়িক শত্রুতার জেরে বিশ্বজিৎকে ফাঁসানোর পরিকল্পনা করে ভৈরব। বাবলু দলুই ওরফে সোনু, স্বপন মিত্র এবং অজিত দাসকে ওই পরিকল্পনায় যুক্ত করে সে। অজিত বোমা তৈরিতে পটু। তাই সে বোমা তৈরি করে। স্বপন অজিতের কাছ থেকে ওয়ান শর্টার বন্দুক এবং আগ্নেয়াস্ত্র কেনে। ওই অস্ত্রশস্ত্র কেনার টাকা ভৈরবই দিয়েছিল তাকে।
[আরও পড়ুন: হাই কোর্টে মামলা দায়েরের পরেই নড়েচড়ে বসল পুলিশ, গাংনাপুর গণধর্ষণ কাণ্ডে গ্রেপ্তার ৬]
এরপর গত ১৯ এপ্রিল একটি প্লাস্টিকের ব্যাগে অস্ত্রশস্ত্র এবং বোমা মজুত করে তারা। ওই ব্যাগটি সঙ্গে নিয়ে স্বপন মিত্র এবং সোনু অটোটির কাছে যায়। স্বপনের বাইকে চড়ে ঘটনাস্থলে যায় তারা। প্লাস্টিকের ব্যাগটি অটোয় রেখে আসে। জানা গিয়েছে, ভৈরবের ব্যবসায় মন্দা চলছিল। তবে বিশ্বজিতের ব্যবসা ফুলে ফেঁপেই উঠেছিল। বিশ্বজিতের ফিনান্স কোম্পানির বদনাম করতেই ভৈরব এই চক্রান্ত করেছিল। ধৃতদের জেরা করে আরও নানা তথ্য পাওয়া যাবে বলেই মনে করছে পুলিশ।
স্থানীয় সিসিটিভি ফুটেজে চাঞ্চল্যকর ছবি ধরা পড়ে। গত ১৮ এপ্রিল গভীর রাতের সিসিটিভি ফুটেজে একটি বাইকে চড়ে দু’জনকে সেখানে আসতে দেখা গিয়েছিল। প্লাস্টিকের প্যাকেটে কিছু রাখা হচ্ছে, তাও দেখা গিয়েছিল। ওই সিসিটিভি ফুটেজের সূত্র ধরেই পুলিশ দু’জনকে চিহ্নিত করে। তাদের জেরা করেই বাকিদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ।