সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ড হারবার: ভাড়াটে খুনিকে দিয়ে খুন করানো হয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুরে তৃণমূল নেতাকে। রাতভর তদন্তের পরে এই বিষয়ে মোটামুটি নিশ্চিত পুলিশ। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। এই তিনজন সরাসরি খুনের সঙ্গে যুক্ত নয়। পুলিশ সূত্রে খবর, দুষ্কৃতীদের কাছে ওই তৃণমূল নেতা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দিয়েছিল আটক হওয়া তিনজনের মধ্যে একজন, রাতভর জেরায় সেকথা স্বীকার করেছে সে।
রবিবার সন্ধেয় আন্ধারমানিক গ্রাম পঞ্চায়েতের ২১৮ ও ২১৯ নম্বর বুথ তৃণমূল সভাপতি সাধন মণ্ডল বিষ্ণুপুর থানার দুর্গাবাটি মোড়ে চায়ের দোকানে বসেছিলেন। অভিযোগ, সেই সময় তিনজন দুষ্কৃতী বাইকে চড়ে আসে। একজন দোকানের মধ্যে ঢুকে আগ্নেয়াস্ত্র দেখায়। দোকানের মধ্যে থাকা ক্রেতারা আতঙ্কে ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। তারপর গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর। পরিবারের লোকজনের অভিযোগ, বেশ কয়েকদিন ধরে খুনের হুমকি দেওয়া হচ্ছিল সাধনকে। স্থানীয় ভুতো নামে একজনের নামও উঠে আসছে। এই খুনের ঘটনার পর থেকে এলাকাছাড়া সে। পুলিশ তার খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে।
[আরও পড়ুন: মতুয়াদের নাম সংকীর্তন, প্রসাদ বিলির সময় পুলিশের গাড়ির দৌরাত্ম্য, জনতা-পুলিশ খণ্ডযুদ্ধ]
পুলিশ সূত্রে খবর, তৃণমূল নেতা সাধন মণ্ডলকে খুনের জন্য সুপারি দেওয়া হয়েছিল। সেই অনুযায়ী ওই দুষ্কৃতীরা তাঁকে খুন করে। আর পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য রবিবার বিকেলের পর থেকে তিনি কোথায়, কখন যাচ্ছিলেন সেদিকে তীক্ষ্ম নজর ছিল কুচক্রীদের। নজর রেখেছিল মোট তিনজন। তাদের ইতিমধ্যেই আটক করেছে পুলিশ। জেরায় সে একথা স্বীকার করেছে বলেই জানিয়েছেন তদন্তকারীরা। তাদের জেরা করে মূল অভিযুক্তদের সন্ধান পাওয়া যাবে বলেই মনে করছে পুলিশ।