রঞ্জন মহাপাত্র, কাঁথি: NIA-এর বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ দায়ের। ভূপতিনগর থানায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী আধিকারিকদের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ৩৫৪ ধারায় শ্লীলতাহানির অভিযোগ দায়ের হয়েছে। সূত্রের খবর, বিস্ফোরণে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা মনোব্রত জানার স্ত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে এই পদক্ষেপ। এ প্রসঙ্গে কাঁথির এসডিপিও দিবাকর দাস বলেন, "মনোব্রতর বাড়ি থেকে এনআইএ-এর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে। দরজা ভেঙে বাড়িতে ঢুকে তারা শ্লীলতাহানি করেছে। তদন্ত করে দেখা হবে।"
উল্লেখ্য, শনিবারই জনসভা NIA-এর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর দাবি, তৃণমূল নেতাদের বাড়িতে ঢুকে মহিলাদের হেনস্তা করা হয়েছে। এবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারীদের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ দায়ের হল থানায়। রাজনৈতিক মহলের দাবি, সন্দেশখালির ঘটনার পুনরাবৃত্তি হল ভূপতিনগরে। সেখানেও ইডি আধিকারিকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছিল পুলিশ। এখানে এনআইএয়ের বিরুদ্ধে দায়ের হল শ্লীলতাহানির অভিযোগ। এদিকে আধিকারিকদের মারধরের ঘটনায় ভূপতিনগরে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিল এনআইএ। সেই ঘটনার ২৪ ঘণ্টার কেটে গেলেও এখনও কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। যা নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে।
[আরও পড়ুন: বাঙালি প্রধানমন্ত্রী পেত দেশ! কেন কুরসি অধরাই থেকে যায় প্রণবের?]
প্রসঙ্গত, এনআইএ-র (NIA) বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, গত ২০২২ সালের ডিসেম্বরের বিস্ফোরণের ঘটনায় এনআইএ শনিবার দুজনকে গ্রেপ্তার করতে যায়। পাঁচটি জায়গায় তল্লাশির পর বলাইচরণ মাইতি এবং মনোব্রত জানাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মনোব্রত জানার বাড়ির কাছে স্থানীয় বাসিন্দারা জড়ো হন। তাঁরা বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন। তাঁরাই হামলা চালায়। এনআইএ প্রতিনিধি দলের একজন জখম হন। গাড়িও ভাঙচুর করা হয়। পালটা তৃণমূলের দাবি, প্রতিহিংসামূলক রাজনীতির জেরে রাত-বিরেতে তৃণমূল নেতাদের বাড়িতে হানা দিচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা। মহিলাদের শ্লীলতাহানির অভিযোগ এনেছে তারা। সূত্রের খবর, বলাইচরণ ও মনোব্রত শুধু নয়, আরও তিন তৃণমূল নেতাও তদন্তকারীদের স্ক্যানারে রয়েছেন। তাঁদের বাড়িতেও তল্লাশি চালিয়েছে NIA।
পুলিশের দায়ের করা অভিযোগ প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ তথা মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, এনআইএ-র বিরুদ্ধে ক্রমাগত প্ররোচনামূলক কথা বলে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। দোষীদের বাঁচানোর চেষ্টা করছেন তিনি। এভাবে সত্যিকে লুকিয়ে রাখা যাবে না। এদিকে তৃণমূলের মুখপাত্র জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, "২০২২ সালের ঘটনার তদন্ত করছে এখন। এটা ভোটের সময় তৃণমূলকে টার্গেট করা হচ্ছে।"