নন্দন দত্ত, সিউড়ি: বীরভূমে বিস্ফোরক-সহ ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদে মিলল নয়া তথ্য। তার কথাবার্তার সূত্র ধরে গুদামে হানা রাজ্য পুলিশের এসটিএফের। ওই গুদাম থেকে ৬০০ বস্তা অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট বাজেয়াপ্ত করেছেন তদন্তকারীরা। তবে কাউকে আটক বা গ্রেপ্তার করা হয়নি।
দিনকয়েক একটি চারচাকার গাড়িতে ডিটোনেটর ভরতি করে পাচার করা হচ্ছে বলে খবর পেয়েছিল রাজ্য এসটিএফ। সেই খবরের উপর ভিত্তি করে সিউড়ির তিলপাড়া ব্যারেজ থেকে একটি চারচাকা গাড়িকে ধাওয়া করে তারা। সুযোগ বুঝে গাড়িটি পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু লাভ হয়নি। মহম্মদবাজার থানার কাছে গাড়িটিকে বুধবারই ধরে ফেলে স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্সের আধিকারিকরা। গাড়ির চালককে আটক করে মহম্মদবাজার থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়।
[আরও পড়ুন: অ্যাঞ্জেলিনা জোলির কায়দায় কৃত্রিম স্তন বাংলার মেয়ের, এসএসকেএমে নজিরবিহীন অস্ত্রোপচার]
গাড়ি থেকে ৮১ হাজার ডিটোনেটর (Detonator) উদ্ধার করা হয়। গাড়ির চালক সুনীল কেওরাকে গ্রেপ্তারও করা হয়। সে জানায়, পশ্চিম বর্ধমানের রানিগঞ্জ এলাকা থেকে ডিটোনেটরগুলি রামপুরহাটে আনা হচ্ছিল। আরও জেরায় একটি গুদামেরও খোঁজ দেয় সুনীল কেওরা। সে জানায় ওই গুদামে আরও বিস্ফোরক রাখা হয়েছে।
সেই অনুযায়ী নলহাটি থানার লক্ষৌওয়াড়ার ওই গুদামে হানা দেয় এসটিএফ। সেখান থেকে ৬০০ বস্তা অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট বাজেয়াপ্ত করা হয়। জানা গিয়েছে, ওই গুদামটির মালিক সেন্টু শেখ নামে এক ব্যক্তি। তবে ওই গুদামে সে বিস্ফোরক মজুত রাখা হত বলে জানতেন না কেউই। সেন্টু শেখের কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। তার খোঁজে চলছে তল্লাশি। সুনীল কেওরাকে জেরা করে আরও নানা তথ্য পাওয়া যেতে পারে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। বিস্ফোরক উদ্ধারের ঘটনায় গুদাম মালিক সেন্টু শেখের ভূমিকাও ভাবাচ্ছে রাজ্য পুলিশের এসটিএফ আধিকারিকদের।