shono
Advertisement

জগাছার ভুয়ো CBI আধিকারিকের নীল বাতি লাগানো গাড়ি বাজেয়াপ্ত, মালিককে থানায় তলব

জোড়াবাগান এলাকা থেকে গাড়িটি বাজেয়াপ্ত করা হয়।
Posted: 10:18 AM Jul 14, 2021Updated: 10:18 AM Jul 14, 2021

অরিজিৎ গুপ্ত, হাওড়া: জগাছার ধৃত ভুয়ো সিবিআই আধিকারিকের (Fake CBI Officer) নীল বাতি লাগানো গাড়িটি বাজেয়াপ্ত করল পুলিশ। মঙ্গলবার রাতভর ধৃত শুভদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালান তদন্তকারীরা। তারপর জোড়াবাগান এলাকা থেকে গাড়িটি বাজেয়াপ্ত করা হয়। গাড়ির মালিককে জগাছা থানায় ডেকে পাঠানো হয়েছে। তাকে জেরা করে শুভদীপের গতিবিধি সংক্রান্ত আরও কিছু তথ্য পাওয়া সম্ভব হবে বলেই মনে করছে পুলিশ।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে খবর, বাজেয়াপ্ত হওয়া গাড়িটির নম্বর WB 04G6310। ভাড়া নেওয়া এই গাড়িটিতে নীল বাতি লাগিয়ে ঘুরে বেড়াত শুভদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। এছাড়াও গাড়িতে লাগানো থাকত সিবিআইয়ের অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর লেখা বোর্ড। জানা গিয়েছে, গাড়ির মালিক রমেশ কায়স্থ। তিনিই গাড়ি চালাতেন। শুভদীপ তাঁকে সিবিআই আধিকারিক হিসাবে অথরাইজড লেটার দেখিয়েছিল। তার ফলে খুব সহজেই শুভদীপকে বিশ্বাস করে ফেলেছিলেন গাড়ির মালিক রমেশ। ইতিমধ্যেই গাড়ির সমস্ত কাগজপত্র খতিয়ে দেখেছে পুলিশ। ওই গাড়ির মালিককে জগাছা থানায় ডেকে পাঠানো হয়েছে।

[আরও পড়ুন: চাঁচলে কালিয়াচক হত্যাকাণ্ডের ছায়া, স্ত্রীকে খুন করে বাড়ির পাশে দেহ পুঁতে রাখল স্বামী]

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৯ সাল থেকেই ভুয়ো পরিচয়ে ঘুরে বেড়াত ধৃত শুভদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। কিছুদিন আগেই তার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ ওঠে। তার মধ্যে ছিল সিবিআই অফিসারের ভুয়ো পরিচয়, নীলবাতি লাগানো গাড়ি নিয়ে ঘোরাফেরা, প্রতারণা, বধূ নির্যাতন। অভিযোগ পেয়েই তদন্তে নামে পুলিশ। অবস্থা বেগতিক বুঝে দিল্লি চম্পট দেয় শুভদীপ। বিলাসবহুল হোটেলে আত্মগোপন করেছিল সে। পরিকল্পনা ছিল ভারত থেকে নেপালে পালিয়ে যাওয়ার। কিন্তু তার আগেই পুলিশের জালে ধরা পড়ে যায় অভিযুক্ত। মঙ্গলবার তাকে নিয়ে আসা হয় হাওড়ায়। তোলা হয় আদালতে। ৮ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, ফেসবুকের মাধ্যমেই তরুণীর সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল তার। পরবর্তীতে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। ২০১৯ সালে আইনি বিয়ে সারেন তারা। ২০২০-র জুলাইতে সামাজিকভাবে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন দু’জনে। যদিও তাদের দাম্পত্য জীবন মোটেও সুখের ছিল না। অশান্তি লেগেই থাকত। গাড়িচালকের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে স্ত্রী, এমনই সন্দেহ করত শুভদীপ।

এলাকার বাসিন্দাদের দাবি, শুভদীপের স্ত্রীও সিবিআই আধিকারিক বলেই জানতেন তাঁরা। উল্লেখ্য, মা-বাবার সহযোগিতাতেই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় পুলিশ। ছেলের এহেন কাজকর্মে লজ্জিত মা-বাবা জানিয়েছিলেন, ছেলেকে যেন গ্রেপ্তার করা হয় অথবা সে আত্মসম্পর্পণ করুক। এরপর বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের তরফে শুভদীপের ফোন নম্বর জোগাড় করে ফোন করা হয়। আর সেই ফাঁদেই পা দিয়ে ফেলে শুভদীপ। প্রতিটি ফোন রিসিভ করে জানায়, বিশেষ কাজে সে দিল্লিতে রয়েছেন। এরপর দিল্লি পুলিশের সহায়তায় সেখানে গিয়ে এক পাঁচতারা হোটেল থেকে ভুয়ো সিবিআই অফিসারকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করে হাওড়া পুলিশের বিশেষ দল।

[আরও পড়ুন: ভরসন্ধেয় ভাটপাড়া পুরসভা চত্বরে তাণ্ডব দুষ্কৃতীদের, চলল ‘গুলি’]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement